জুমবাংলা ডেস্ক : অন্যের হয়ে আরেকজন পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা পড়ার খবর হরহামেশাই শোনা যায়। কিন্তু এবার আদালতে আসল আসামির বদলি হাজিরা দিতে গিয়ে ধরা পড়েছেন পাঁচ ব্যক্তি। গতকাল বুধবার বিকেলে ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে। ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার একটি মারামারির মামলায় ওই ব্যক্তিরা ‘প্রক্সি’ দিতে গিয়েছিলেন। ধরা পড়ার পর তাদেরকে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- কিশোরগঞ্জের তাড়াইলের সোহেল মিয়া (৩০), ময়মনসিংহের নান্দাইলের মো. ওয়ালীউল্লাহ (২৬), রফিকুল ইসলাম (৩৫),সাইফুল ইসলাম (৩০) ও নুরুল্লাহ (২৮)। পুলিশ জানায়, বুধবার ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আরিফুল ইসলাম নান্দাইলের একটি মারামারি মামলার পলাতক পাঁচ আসামির জামিন শুনানি করছিলেন। এ সময় এক আসামির নাম ডাকা হলে একসাথে একাধিক ব্যক্তি হাত তুলেন। পরে আসামিদের নাম ঠিকানা বয়স জিজ্ঞাসা করলে তারা উল্টাপাল্টা উত্তর দেন। এ অবস্থায় বিকেল পাঁচটার মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র এনে আদালতে উপস্থাপনের জন্য সময় দিলে সেটিও দেখাতে ব্যর্থ হন তারা। এতে বিচারকের সন্দেহ হলে তাদের আটক করতে থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ কামাল আকন্দ বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের হয়ে ‘প্রক্সি’ দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং তাদের আসল পরিচয় দেন। তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে। জানা যায়, চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল নান্দাইল থানায় দায়ের করা মামলায় মোট ১৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। গত ২৬ জুন আদালতে হাজির হয়ে মোট ১০ জন জামিন নেন। বাকি পাঁচজন পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন- নান্দাইলের সুরুজ মিয়া (৫৫), আজিম উদ্দিন (৫৩), মুন্না মিয়া (২১), আবুল কাশেম (৫০) ও শহর আলী (৪৩)।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।