জুমবাংলা ডেস্ক : বাগেরহাটের শরণখোলায় বনবিভাগের অভিযানে মিলন মোড়ল (৩৫) নামে এক হরিণের মাংসের কারবারিক আটক হয়েছে। রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রায়েন্দা ইউনিয়নের বনসংলগ্ন রসুলপুর গ্রামের বেড়িবাঁধের ওপর থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১০টি পলিথিনে ভর্তি ২০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করে বনরক্ষীরা।
আটক মিলন মোড়ল যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার উত্তর দেওলী গ্রামের আ. লতিফ মোড়লের ছেলে। তিনি ৭-৮ বছর আগে প্রথমে রাজমিস্ত্রির শ্রমিক হিসেবে শরণখোলায় আসে। পরবর্তীতে রাজমিস্ত্রির কাজ ছেড়ে বেছে নেয় হরিণের মাংস পাচারের পেশা। বর্তমানে পরিবার নিয়ে উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের টি অ্যান্ড টি এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করছে মিলন।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) আ. মান্নান জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তার স্টেশন এবং দাসের ভারাণী টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীদের নিয় ওই রাতে অভিযান চালান তিনি। এ সময় রসুলপুর বেড়িবাঁধের ওপর বনরক্ষীদের দেখতে পেয়ে পাচারকারী মিলন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে ধাওয়া করে তাকে আটক করতে সক্ষম হন তারা। এ সময় মিলনের কাছে থাকা ব্যাগে হরিণের মাংস পাওয়া যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে আটক মিলন বনবিভাগকে জানায়, উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের সোনাতলা ঢালীরগোপ এলাকার চিহ্নি বন্যপ্রাণী শিকারী হাবিব তালুকদার ও তানজের বয়াতীর কাছ থেকে সে হরিণের মাংস কিনে বিক্রি করে আসছে। গত শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) বকুলতলা গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী চান্দু মিয়ার ফিশিং ট্রলারে সুন্দরবনের কটকা এলাকায় যায় ওই দুই শিকারী। সেখান থেকে তারা হরিণ শিকার করে সেই মাংস একটি জেলে নৌকায় তার কাছে পাঠায়। তারা আরো হরিণ শিকারের জন্য বর্তমানে কটকায় অবস্থান করছে।
স্টেশন কর্মকর্তা জানান, হাবিব তালুকদার ও তানজের বয়াতীর নামে বন বিভাগের একাধিক মামলা রয়েছে। আটক মিলনের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দিয়ে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। জব্দকৃত মাংসের বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।