জুমবাংলা ডেস্ক : অন্য নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ তুলে রাজধানীর পল্লবী এলাকায় এক ব্যক্তির লিঙ্গ কেটে দিয়েছেন তার স্ত্রী। ওই ব্যক্তির নাম মনিরুল ইসলাম। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ওই ব্যক্তিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের অপারেশন থিয়েটারে চিকিৎসা দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে স্থানান্তার করা হয়। মনিরুল পল্লবী এলাকায় একটি পোশাকের কারখানায় কাজ করেন।
আহত মনিরুলের স্ত্রী আসমা আক্তার ঢাকাটাইমসকে জানান, আমি তার দ্বিতীয় স্ত্রী। প্রায় আট বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়। তার আগের স্ত্রী দুই সন্তান নিয়ে যশোরের বেনাপোল এলাকায় থাকেন। আমরা মিরপুর ১২ নম্বরের মুসলিম বাজার এলাকায় বসবাস করি।
আসমা অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী একাধিক মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। কয়েকদিন আগেও সে পোশাক কারখানা থেকে ১৪ বছর বয়সী একটি মেয়েকে এনে তার সঙ্গে অসামাজিক কার্যকলাপ করেছে। পরে আমি তাকে অনেক বুঝিয়েছি, দেখো এসব কাজ করা ভালো না। কিন্তু সে আমার কথা শোনে না। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার শরীর পরিষ্কার করার কথা বলে আমি তার লিঙ্গ কেটে দেই।
বুধবার রাতে মনিরুলকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পর সেখানকার চিকিৎসক জানিয়েছেন তার লিঙ্গের কাটা অংশ ছয় ঘণ্টার মধ্যে এনে দিলে তার জোড়া লাগানো যাবে। কিন্তু আসমাকে অনুরোধ করা হলে তিনি তাতে রাজি হননি।
বৃহস্পতিবার সকালে আসামি আসমাকে পল্লবী থানা পুলিশের কাছে তুলে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, আহত মনিরুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আর তার স্ত্রী আসমাকে পল্লবী থানা পুলিশের কাছে দেয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।