ইউক্রেনের সাথে প্রকাশ্যে যুদ্ধ বাদেও ইউরোপের সাথে জ্বালানি যুদ্ধেও লড়াই করছে রাশিয়া। পুতিন আশা করছে জ্বালানির যুদ্ধের কৌশল এ মাধ্যমে পশ্চিমাদের কাবু করবে রাশিয়া।
ইউরোপে জ্বালানি সরবরাহ কমিয়ে আনছে পুতিন। ধীরগতির চলা এ কৌশলে ইউরোপ ধীরে ধীরে অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। গ্যাস, তেল সহ সব জ্বালানি পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউরোপের জনগণ তাদের সরকারের উপর আস্থা হারাতে শুর করছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন যা রাশিয়ার জন্য বড় নিঃসন্দেহে বড় বিজয়।
আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের আধিপত্য থাকলেও যেসব দেশ বন্ধু নয় তাদেরকে রুবলে পেমেন্ট করতে বাধ্য করছে রাশিয়া। এ নিয়ম না মানলে পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়াতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়া ইউরোপকে নিজস্ব নিয়মে চলতে বাধ্য করছে। উপায় না পেয়ে অনেক ইউরোপীয় দেশ রুবলে অর্থ পরিশোধ করছে।
রাশিয়ার উপর পশ্চিমাদের কঠোর নিষেধাজ্ঞার ফলে ইউরোপে অস্থিরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পুতিন আশা করছে ব্রিটেন ও ইতালির মতো জার্মান সরকারেও পতন ঘটবে। এরপর অন্য দেশের সরকার। ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমাদের সমর্থন দিন দিন কমতে থাকবে।
পুতিন আশা করছে নিজের পছন্দের লোক ইউরোপের দেশে দেশে ক্ষমতায় থাকবে। বরিস জনসন ও মারিও দ্রাঘির পতনের ফলে ইউক্রেন ঘনিষ্ঠ ২ বন্ধুকে হারিয়েছে। ইতালির জনগণ বুঝতে পেরেছে তাদের এ অবরোধ ও যুদ্ধের প্রভাব সহ্য করতে পারবে না। তাই আন্দোলন করেছে।
জ্বালানিযুদ্ধের মাধ্যমে ইউরোপকে পুরোপুরি ঘায়েল করতে চায় রাশিয়া। শীতের মৌসুমে রাশিয়ার গ্যাস ছাড়া ইউরোপ টিকে থাকতে পারবে না। তখন আরও বেশকিছু দেশে সরকার পতন হতে পারে। ন্যাটো দুর্বল হতে পারে। বাইডেনের জনপ্রিয়তায় ধস নামতে পারে। এভাবে ধীরগতির জ্বালানি যুদ্ধের মাধ্যমে পুতিন যুদ্ধে ইতিবাচক ফলাফল লাভ করবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।