চেনা গণ্ডির বাইরে বাংলাদেশের মধ্যে দারুণ কিছু ভ্রমণ গন্তব্যের স্থান রয়েছে। এসব গন্তব্য যোগ হতে পারে আপনার এ বছরের ভ্রমণের তালিকায়। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য ভ্রমণ সবচেয়ে সহায়ক পথ্য হিসেবে কাজ করে। ভ্রমণ তাই যাপনের এক অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যতর রোমাঞ্চের স্বাদ নিতে চলে যেতে পারেন এসব গন্তব্যে।
সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য ভ্রমণ সবচেয়ে সহায়ক পথ্য হিসেবে কাজ করে। ভ্রমণ তাই যাপনের এক অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যতর রোমাঞ্চের স্বাদ নিতে চলে যেতে পারেন এসব গন্তব্যে। নেত্রকোনার ভারত–বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত এই নয়নাভিরাম ভ্রমণ গন্তব্য। স্থানীয় লোকজনের কাছে সুপরিচিত হলেও, অন্য বিভাগের মানুষ খুব একটা আসে না এদিকে।
তবে রোমাঞ্চপ্রেমীদের কাছে এই জায়গা বেশ পরিচিত। এখানে আছে চন্দ্রডিঙ্গা পাহাড়, সীমান্তের কোণঘেঁষা হালকা বন, সাত শহীদের মাজার, মমিনের টিলাসহ দারুণ সব দর্শনীয় স্থান। ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে রোজ রাত সাড়ে ৯টা ও রাত সাড়ে ১০টায় কলমাকান্দার উদ্দেশে সরাসরি বাস ছেড়ে যায়। ভাড়া ৪৫০ টাকা। ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ পৌঁছে যাবেন আপনি। কলমাকান্দা বাজারে ৯০০ টাকায় সারা দিনের জন্য বাইক ভাড়া পাওয়া যায়।
কলমাকান্দা বাজার থেকে পাঁচগাঁওয়ের দূরত্ব ১২ কিলোমিটার। এখানে আছে অনেকগুলো হাওর। টাঙ্গুয়ার হাওরের শুরু এখান থেকে। বিশেষ করে বর্ষাকালে এই জায়গাটা দারুণ। দুই পাশে হাওর, মাঝে মাটির রাস্তা আর সবুজ প্রকৃতি। সামনে গেলেই পাঁচগাঁওয়ের পাহাড়গুলো দূর থেকে দেখা যায়। সেখানেই আছে চন্দ্রডিঙ্গা পাহাড়। সেখানে আছে দারুণ এক ঝিরিপথ। এখানে গারো সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। খুবই সুন্দর ঝিরিপথ আপনাকে মুগ্ধ করবে।
স্থানীয় লোকগাথা অনুযায়ী চাঁদ সওদাগরের নৌকা এখানে ডুবেছিল। চন্দ্রডিঙ্গা পাহাড়ের আকৃতি সে জন্যই নাকি নৌকার মতো; আর নামকরণ এ রকম। এরপর মেঘালয় পাহাড়ের কোল ঘেঁষে রঙছাতি ইউনিয়নের পাতলা বন। পশ্চিমবঙ্গের মেঘালয় থেকে আসা গনেশ্বরী নদী, দূরের পাহাড়, বাংলাদেশ অংশের টিলা, সবুজ ধানের খেত, নদীর পাড় চমৎকৃত করবে আপনাকে।
সাত শহীদের মাজার নেত্রকোনা ও ভারত সীমান্তের লেঙ্গুরার নো ম্যানস জোনে। এখানে সমাহিত করা হয়েছে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে শহীদ সাত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। এর পাশ দিয়েই বয়ে গেছে গনেশ্বরী নদী। এরপরের গন্তব্য মমিনের টিলা। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত সবচেয়ে বড় টিলা হচ্ছে মমিনের টিলা। এখানে পাকা সিঁড়ি বেয়ে বা মাটির টিলা বেয়ে ওপরে উঠতে পারেন। চূড়ায় উঠে নিঃসন্দেহে মন ভালো হয়ে যাবে মেঘ–পাহাড়, নদী আর সবুজের সমারোহ দেখে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।