লাইফস্টাইল ডেস্ক : যারা রাতে কম ঘুমান তাদের বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবল ঝুঁকি রয়েছে বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, রাতে পাঁচ ঘণ্টা কিংবা এর থেকে কম ঘুমান যারা তারাই সবথেকে বেশি ঝুঁকিতে আছেন। ৭ হাজার ১৪৬ জনের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। তারা সকলেই ইংল্যান্ডের বাসিন্দা এবং বয়স ৫০ এর বেশি। গবেষকরা বলছেন, বয়স্কদের মধ্যে কম ঘুমানোর প্রবণতার কারণে কয়েক বছরের মধ্যেই বিষণ্ণতার লক্ষণ প্রকাশ পায়। গড়ে আট বছর ব্যবধানেই বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হন তারা।
যারা রাতে সাত ঘন্টা ঘুমান তাদের তুলনায় যারা গড়ে পাঁচ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমান তাদের মধ্যে বিষণ্নতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ২.৫ গুণ। এমনকি বংশগত কারণেও যারা কম ঘুমান তাদের মধ্যেও শেষ বয়সে গিয়ে বিষণ্নতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ১৪ শতাংশ বেশি।
গবেষণা থেকে জানা গেছে যে, বেশি ঘুমও আসলে বড় সমস্যা। যেসকল বয়স্ক মানুষ দিনে নয় ঘণ্টার বেশি ঘুমান তাদের মধ্যেও জীবনের শেষ সময়ে বিষণ্নতার লক্ষণ দেখা গেছে। সাধারণের তুলনায় তাদের বিষণ্নতায় ভোগার সম্ভাবনা ১.৫ গুণ বেশি। এদিকে বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হলেও ঘুম কমে যায়।
বিষণ্নতায় আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমানোর হার প্রায় ৩৩ শতাংশ।
ইংলিশ লংগিটুডিনাল স্টাডি অফ এজিং-এর দেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই গবেষণাটি করা হয়েছে। গবেষণাটি ট্রান্সলেশনাল সাইকিয়াট্রিতে প্রকাশিত হয়েছে। যে জিনের কারণে মানুষ কম ঘুমায় তাও খুঁজে বের করেছেন গবেষকরা। তবে বিশ্বে ঠিক কত শতাংশ মানুষের মধ্যে এ জিন রয়েছে তা নিয়ে কোনো গবেষণা হয়নি। ঘুমের অভাবের সাথে সম্পর্কিত স্বাস্থ্য ঝুঁকিগুলি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে অনেক রিপোর্ট হয়েছে। গত বছর প্রায় ৮০০০ বৃটিশ সিভিল সার্ভিস কর্মীদের মধ্যে চালানো একটি গবেষণায় দেখা গেছে, পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুম হৃদরোগ, বিষণ্নতা, ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।