জুমবাংলা ডেস্ক : কুড়িগ্রামের উলিপুরে পাঁচ সন্তানের জনক এক প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে পঞ্চমবারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন একই স্কুলের এক সহকারী শিক্ষিকা।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তবকপুর ইউপির দক্ষিণ সাদুল্ল্যা ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
শিক্ষিকা মায়ের এমন কাণ্ডে ক্ষিপ্ত হয়ে কলেজ পড়ুয়া ছেলে তার সহপাঠীদের নিয়ে প্রধান শিক্ষককে স্কুল থেকে তুলে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
উপজেলার তবকপুর ইউপির দক্ষিণ সাদুল্ল্যা ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম সম্প্রতি বদলি হয়ে এসে একই বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকার সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন।
বিদ্যালয় চলার সময় তাদের কর্মকাণ্ড দৃষ্টিগোচর হলে স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবক মহল কিছুদিন আগে শালিস বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ভৎসনা করেন। বিদ্যালয়ের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বৈঠকে তাদের উভয়কে প্রত্যাহারের দাবি ওঠে।
কিন্তু প্রত্যাহারের আগেই রোববার রাতে গোপনে ওই শিক্ষিকা পঞ্চমবারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসে ওই প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে। সোমবার সকালে বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষকের কর্মকাণ্ডে বিক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে তালা লাগানোর চেষ্টা করে।
এ সময় ওই শিক্ষিকার কলেজ পড়ুয়া পুত্র মায়ের অনৈতিক কার্যকলাপে ক্ষিপ্ত হয়ে সহপাঠীদের নিয়ে ওই প্রধান শিক্ষককে তুলে নিয়ে যায়। এদিকে ওই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সোলায়মান মিয়া বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।
ওই সহকারী শিক্ষিকার প্রথম বিয়ে ভেঙে গেলে দ্বিতীয় বিয়ে করেন উপজেলার তবকপুর ইউপির জনৈক ব্যক্তিকে। তার সঙ্গে নানা কারণে অমিল হলে তিন দফা তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। কিন্তু তিনবারই তারা আবার বিয়ে করেন। সর্বশেষ তিনি রোববার রাতে একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রেমে মজে পঞ্চমবারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ্ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।