জুমবাংলা ডেস্ক : নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চর আমানুল্লা গ্রামে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে কাজল চন্দ্র দাস (৫৫) নামে এক স্কুলশিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রোববার দিবাগত রাত দুইটার দিকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহত কাজল চন্দ্র দাস উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের ইন্দুরসরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
এর আগে রোববার বিকেলে পাওনা টাকা নিয়ে একই এলাকার শান্ত মজুমদার (৪০) স্কুলশিক্ষক কাজলকে পিটিয়ে আহত করেন। পুলিশ অভিযুক্ত শান্তকে সোমবার সকাল ছয়টার দিকে শহর আমানুল্লাহ গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেলে কাজলের সঙ্গে জুয়া খেলার টাকা নিয়ে শান্তসহ কয়েকজনের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শান্তসহ কয়েকজন তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। ঘটনার পর পরিবারের লোকজন তাকে বাড়িতে নিয়ে যান। পরে রাতে অবস্থার অবনতি হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি মারা যান।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের জানান, গতকাল বিকেলের দিকে পাওনা টাকা নিয়ে একই এলাকার শান্ত মজুমদারের সঙ্গে স্কুলশিক্ষক কাজল চন্দ্র দাসের ঝগড়া হয়।
একপর্যায়ে শান্ত মজুমদার স্কুলশিক্ষক কাজলকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে না নিয়ে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেন। রাতে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দুইটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ওসি আবুল খায়ের আরো জানান, গতকাল রাতে হাসপাতাল থেকে হামলায় আহত স্কুলশিক্ষকের মৃত্যুর খবর তাদের জানানো হয়। এরপর প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে সকাল ছয়টার দিকে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ঘটনায় অভিযুক্ত শান্তকে আটক করে।
তাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় পরিবারের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।