আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় কোন ওষুধ কার্যকর, তা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে জানা যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক ট্রেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস।
তিনি বলেছেন, ‘ডব্লিউএইচওর পরীক্ষা কার্যক্রমে ৩৯টি দেশের প্রায় সাড়ে ৫ হাজার রোগী অংশ নিয়েছেন। এসব পরীক্ষার অন্তর্বর্তী ফলাফল দুই সপ্তাহের মধ্যে আশা করছি।’ শুক্রবার জেনেভায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। খবর রয়টার্স ও এনডিটিভির।
ডব্লিউএইচও পাঁচটি ভাগে করোনার ওষুধের পরীক্ষা করছে। এর মধ্যে এন্টিভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির যেমন আছে, তেমনি রাখা হয়েছে এইডসের ওষুধ লোপিনাভির বা রিটোনাভির। সম্প্রতি ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইনকে পরীক্ষার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে সংস্থাটি।
এদিকে অবনতিশীল করোনা পরিস্থিতিতে সবাইকে জেগে উঠে এ মহামারি নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। সংস্থাটি বলছে, তথ্য-উপাত্ত মিথ্যা বলছে না। মাঠের চিত্রও মিথ্যা নয়। জনগণকে তাই জেগে উঠতে হবে। শুক্রবার জেনেভায় জাতিসংঘ সংবাদদাতাদের সমিতির এক অনুষ্ঠানে ডব্লিউএইচওর জরুরি অবস্থার পরিচালক মাইকেল রায়ান এসব কথা বলেন।
তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, করোনা সংক্রমণ বাড়লেও অনেক দেশ কড়াকড়ি তুলে নিচ্ছে। এ ব্যাপারে তার পরামর্শ কী? এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, তথ্য-উপাত্ত যা বলছে অনেক দেশই তা উপেক্ষা করছে। রায়ান বলেন, ‘অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরায় চালু করার জন্য অনেক ভালো কারণ নিশ্চয়ই আছে। তবে আপনি তো সমস্যা এড়িয়ে যেতে পারেন না। এ সমস্যার কোনো জাদুকরী সমাধান নেই।’
রায়ান বলেন, পুরো দেশ লকডাউন করার বদলে এখন সবচেয়ে সংক্রমণপ্রবণ এলাকায় কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে। এ ছাড়া শারীরিক দূরত্ব, হাত ধোয়া, পরীক্ষা, আইসোলেশন ও কনট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের মতো পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে যেখানে করোনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, সেখানে কঠোর পদক্ষেপ দরকার।
তিনি বলেন, কড়াকড়ি শিথিলের পর আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাবেই। কোনো দেশ যদি তা সামাল দেওয়ার সক্ষমতা না রাখে, তবে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়লে বেশি লোক মারা যাবে। কাজেই অনেক দেশের উচিত সবকিছু খুলে দেওয়ার আগে বিষয়টি ভেবে দেখা। আপনি যদি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন, তবে বিকল্প থাকল শুধু লকডাউন।
সংস্থার মহাপরিচালক ট্রেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেন, ‘আমরা সবাই করোনার সমাপ্তি চাই। আমরা সবাই আমাদের জীবন নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। কিন্তু কঠিন বাস্তবতা হচ্ছে, এটা শেষ হওয়ার ধারেকাছেও নেই। কিছু দেশ যদিও কিছুটা উন্নতি করেছে, তবু বিশ্বজুড়ে মহামারিটি দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।