জুমবাংলা ডেস্ক: পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা চলনবিলের মধ্যে হওয়ায় এখানে বন্যার পানি আগে প্রবেশ করে। এ কারণে বিল এলাকার কৃষকরা একটু আগেই জমিতে ইরি-বোরো ধান রোপণ করেন। মাঠ ভর্তি ফসল এখন পরিপূর্ণ রূপ নিয়েছে। গাছের শীষগুলোতে ইতোমধ্যে ভরে গেছে ধানে। অনেক স্থানে ধানে পাক ধরেছে। আর কয়েকটা দিন পরেই ধান কাটা শুরু হবে।
এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির আশঙ্কায় কৃষকরা অনেকটা উদ্বিগ্ন। তাই সোনার ফসল কেটে ঘরে তোলার অপেক্ষায় দিন গুনছেন তারা।
উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের কয়ড়া পুকুরপার গ্রামের কৃষক আজিরুদ্দিন বলেন, আমার প্রায় এক’শ বিঘা জমির বোরো ধানে পাক ধরেছে। আর মাত্র ৮/১০ দিন পরই ধান কাটা শুরু হবে কিন্তু কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির আশঙ্কায় ঘুম হচ্ছে না।
![ধান](https://i0.wp.com/inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2023/04/dhaner-folon.jpg?resize=696%2C385&ssl=1)
দিলপাশার ইউনিয়নের মাগুড়া গ্রামের বাসিন্দা আলাউদ্দিন বলেন, এবার ৫০ বিঘা জমিতে ইরি-বোরো আবাদ করেছি। বৃষ্টি নেই অথচ গরমের প্রখরতা বেড়ে যাওয়ায় ঝড়ের শঙ্কায় আছি”।
কৃষকদের আশা, এ বছর ধানের ভালো দাম পাওয়া যাবে। তাই সময়মতো ফসল ঘরে তুলতে পারলে তারা ব্যাপক লাভবান হবেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন জাহান বলেন, এবছর ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ৬৭৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়। এর মধ্যে ব্রি-২৮ ও ২৯ ধানের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বেশি। তবে ব্রি-৮৯, ৯২ কিছু হাইব্রিড ও বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ এর ভালো আবাদ হয়েছে। এছাড়া মৌসুমের শুরুতে ৬৮০০ প্রান্তিক কৃষককে কৃষি প্রণোদনার মাধ্যমে সার ও বীজ দিয়ে সহায়তা করা হয়েছে। এজন্য চলতি বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
জমির বোরো ধানে পাক ধরেছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখছেন। রবিবার ছবিটি তোলা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।