পাকিস্তান বর্তমানে অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং নানামুখী সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশের অনেক মানুষের খাবার এবং রুটি জোগাড় করা দু:সাধ্য কাজে পরিণত হয়েছে । মূলত রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং জলবায়ু বিপর্যয়ের ফলে পাকিস্তান আজ দেউলিয়া হওয়ার পথে রয়েছে।
১৯৪৭ সালের পাকিস্তান স্বাধীন হলেও তাদের প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালে। দেশটির সামরিক শাসকরা গণতান্ত্রিক পরিবেশ কঠোরভাবে দমন করেছে। সেনা শাসনের ফলে জনগণের কল্যাণের বিষয়টি কম মূল্যায়ন করা হয়েছে।
দেশটির একজন মিলিটারি জেনারেল প্রধানমন্ত্রীর থেকেও বেশি ক্ষমতাধর হয়ে থাকে। যখন দেশটির শাসনভার প্রত্যক্ষভাবে সেনাবাহিনীর হাতে ছিল না তখনও রাজনীতিতে কোন ধারাবাহিকতা এবং শৃঙ্খলা ছিল না।
পাকিস্তানের কোন প্রধানমন্ত্রী পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ন করতে সক্ষম হয়নি। শাহবাজ শরীফ ক্ষমতায় আসার পর থেকে আগের সরকারের সকল পরিকল্পনা বাতিল করে দিয়ে নতুন প্ল্যান অনুযায়ী সামনে এগুতে থাকে। এতে পাকিস্তানের রাজানীতিতে আরো বেশি অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
২০২৩ সালের পর পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি আগের সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যায়। ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানের মুদ্রার মান ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। তাছাড়া বর্তমানে পাকিস্তান অনেক বেশি বৈদেশিক ঋণের উপর নির্ভর করে চলে।
ঋণের সমস্যা মোকাবেলা করতে না করতে করতেই আরো ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে। ফলে ঋণের ফাঁদ থেকে পাকিস্তান বেরোতে পারছে না। পাকিস্তানের রিজার্ভ কমে যাচ্ছে এবং খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলেও ভর্তুকি দিতে পারছে না।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পাকিস্তানে নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বিগত কয়েক বছরে ভয়াবহ বন্য এবং খরার মোকাবেলা করতে হচ্ছে দেশটির জনগণকে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের হিমবাহর পানি নদীতে গিয়ে পড়ছে। কিন্তু নদীতে এত জল ধারণ করার সক্ষমতা নেই। জলবায়ু পরিবর্তনের চরম মূল্য দিতে হচ্ছে দেশটিকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।