আলোচনায় আদিত্য ধরের ছবি ‘ধুরন্ধর’। বক্সঅফিসে সাড়াও ফেলেছে। কিন্তু সেই সঙ্গে পর পর বিতর্কে জড়াচ্ছে এই ছবি। এ বার অভিযোগ, পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজ়ির ভুট্টোর ছবি বেআইনি ভাবে এই সিনেমায় ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকি, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তান পিপল্স পার্টির (পিপিপি) অবস্থানকেও ভুল ভাবে তুলে ধরা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

পিপিপি-র মুখপাত্র তথা সিন্ধ টাস্ক ফোর্স-এর সদস্য সুমেতা আফজ়ল সইদ এই অভিযোগ সমাজমাধ্যমে তুলে ধরেছেন। ছবির সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, “সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ভারতীয় চলচ্চিত্র ‘ধুরন্ধর’-এ বেআইনি ভাবে শহিদ বেনজ়ির ভুট্টোর ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দেখানো হয়েছে, পিপিপি যেন সন্ত্রাসবাদের প্রতি সহানুভূতিশীল।”
সুমেতার দাবি, পাকিস্তানে বার বার সন্ত্রাসবাদের শিকার হয়েছে পিপিপি। তাই বরাবর পাকিস্তানের যে কোনও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তারা সরব থেকেছে। সমাজমাধ্যমে তাঁর আর্জি, “যে ভাবে বিকৃত তথ্য দেখানো হয়েছে, তার কঠোর ভাবে নিন্দা করি আমরা। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সম্মানিত এক নেত্রীকে অপমান করার জন্য ভারতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার অনুরোধ রইল সরকারের কাছে।”
‘ধুরন্ধর’ নিয়ে বালোচিস্তান থেকেও এসেছে আপত্তি। বালোচ মানবাধিকারকর্মী দাবি করেছেন, ভুল তথ্য দেখানো হয়েছে এই ছবিতে। বালোচিস্তান কখনওই সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করেনি বলে মন্তব্য তাঁর। এক বিবৃতিতে ওই বালোচ মানবাধিকারকর্মী লেখেন, “বালোচিস্তানের মানুষ কখনও ভারতের ক্ষতি করার জন্য আইএসআই-এর সঙ্গে জোট বাঁধেনি। বালোচিস্তানের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সঙ্গে মোটেও সুবিচার করেনি এই ছবি। বালোচিস্তানের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কাছে অস্ত্রের অভাব রয়েছে। তা না হলে পাকিস্তানকে বহু আগেই হারিয়ে দিতে পারত।” সূত্র: আনন্দবাজার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



