স্পোর্টস ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজও জিতল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রানের সংগ্রহ গড়ে পাকিস্তান। জবাবে ২৬ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে বাংলাদেশের মেয়েরা। ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করে টাইগ্রেসরা।
এর আগে দলটির বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজও জিতেছিল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
পাকিস্তানের দেওয়া ১৬৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন ফারজানা হক ও মুর্শিদা খাতুন। এদিন ওপেনিং জুটিতেই আসে রেকর্ড ১২৫ রান। যা মেয়েদের ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি। এর আগে ২০১১ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শুকতারা রহমান ও শামিমা আক্তার ১১৩ রানের জুটি গড়েছিলেন। আর এ জুটিতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় বাংলাদেশ।
তবে দলীয় ১২৫ রানে ফারজানার বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। টাইগ্রেস এই ওপেনার ১১৩ বলে ৫ চারে খেলেন ৬২ রানের ইনিংস। সঙ্গীকে হারিয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে বিদায় নেন মুর্শিদাও। ১০৬ বলে ৬ চারে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এরপর ক্রিজে এসে নিগার সুলতানা জ্যোতির সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে বল মোকাবিলার আগেই রান আউট হন ফাহিমা। বাকি পথটুকু অনায়াসেই পেরিয়ে যান নিগার সুলতানা জ্যোতি ও সোবহানা মোস্তারি। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৩৯ রানের জুটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ নিশ্চিত করে বাংলাদেশের মেয়েরা। অধিনায়ক নিগার ১৮ ও সোবহানা ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন। পাকিস্তানের হয়ে দুই উইকেট নেন নাশরা সিন্ধু।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিল পাকিস্তান। দুই ওপেনার সাদাফ শামস ও সিদ্রা আমিন গড়েন ৬৫ রানের জুটি। শামসকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে এ জুটি ভাঙেন নাহিদা আক্তার। এরপর মুনিবা আলীকে নিয়ে ২৮ রানের জুটি গড়েন আমিন। এরপর আর বড় কোনো জুটি গড়তে দেয়নি বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রেখেছে স্বাগতিকরা। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার ছাড়া বাকি ৮ জনের মধ্যে মাত্র একজন দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছে। মূলত সিদ্রা আমিনের অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংসে ভর করেই দেড়শো পেরোনো সংগ্রহ গড়ে পাকিস্তান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।