মুলতানের স্পিন-স্বর্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের দারুণ সম্ভাবনা জেগেছিল টেস্টের মাত্র দ্বিতীয় দিন শেষেই। তৃতীয় দিনে সফরকারীদের দরকার ছিল আর ৬ উইকেট। অন্যদিকে, সিরিজ জিততে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল আরও ১৭৮ রান। ক্যারিবীয় বোলারদের তোপে প্রথম সেশনেই মুখ থুবড়ে পড়েছে স্বাগতিক পাকিস্তানের লড়াই।
স্পিন-স্বর্গে ২৫৪ রানের চালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়ায় পাকিস্তান দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল ৪ উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে। তৃতীয় দিনে দলীয় ১৩৩ রানেই গুটিয়ে গেছে শান মাসুদের দল। ১২০ রানের জয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে সমতায় শেষ করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
পাকিস্তানের মাটিতে এ নিয়ে কেবল পাঁচটি টেস্ট জিতেছে ক্যারিবীয়রা। যার সর্বশেষটি সেই ১৯৯০ সালের নভেম্বরে। সে দলে ছিলেন গর্ডন গ্রিনিজ, কার্টলি অ্যামব্রোস, কোর্টনি ওয়ালশ, ইয়ান বিশপদের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা। সদ্য সমাপ্ত টেস্ট দলের কেমার রোচ ছাড়া উইন্ডিজের বাকিদের কারও তখন জন্মই হয়নি।
মুলতানে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ঘোর বিপদে পড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম দিন সকালেই ৩৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলা সফরকারীরা শেষ পর্যন্ত ১৬৩ রানে অলআউট হলেও স্পিনারদের কল্যানে প্রথম ইনিংসে ৯ রানের লিড পেয়ে যায়। পাকিস্তান নিজেদের প্রথম ইনিংসে করতে পেরেছিল মোটে ১৫৪ রান।
দ্বিতীয় ইনিংসে ক্যারিবীয় কাপ্তান ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের ফিফটি ও শেষ দিকে গুডাকেশ মোটি ও জোমেল ওয়ারিক্যানের ব্যাটে আড়াইশোর কাছে যায় সফরকারীরা। প্রথম দিন হ্যাটট্রিক করা ৩৮ বছর বয়সী নোমান দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০ উইকেট শিকার করেন। পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বেশি বয়সে ১০ উইকেট নেওয়ার নিজের রেকর্ডটাও নতুন করে লেখেন তিনি।
সিরিজ জিততে পাকিস্তানের সামনে ২৫৪ রানের চালেঞ্জিং টার্গেট। লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ে স্বাগতিক ব্যাটাররা। দ্রুত দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। কেভিন সিনক্লেয়ারের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন অধিনায়ক শান মাসুদ। গুডাকেশ মোটির শিকার হয়ে ফেরেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ হুরাইরা।
তৃতীয় উইকেটে কামরান গুলাম ও বাবর আজম মিলে কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা চালান। যদিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি সেই প্রতিরোধ। জোমেল ওয়ারিক্যানকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন কামরান। ভাঙে ৪৩ রানের জুটি। দ্বিতীয় দিনের শেষ দিকে লড়াই থামে বাবরেরও। ৭৬ বলে ৩১ রান এসেছে সাবেক অধিনায়কের ব্যাট থেকে।
তৃতীয় দিনে আজ প্রথম সেশনেই পাকিস্তানকে গুটিয়ে দেন মূলত ক্যারিবীয় স্পিনার ওয়ারিক্যান। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫টিসহ ম্যাচে ৯ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। এ ছাড়া দুই ম্যাচ সিরিজে মোট ১৯ উইকেট শিকার করে বাঁহাতি এই স্পিনার হয়েছেন সিরিজসেরাও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।