স্পোর্টস ডেস্ক : সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহতে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে আফগানদের কাঁদিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে পাকিস্তান। ম্যাচ জয়ের খুব কাছে গিয়েও এভাবে একজন বোলারের কাছে হারটা যেন কোনোভাবেই মানতে পারেননি গ্যালারিতে বসে থাকা আফগান সমর্থকরা।
হেরে যাওয়ার পর দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয় মারামারি। বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায় পাকিস্তানের সমর্থকদেরকে গ্যালারির চেয়ার খুলে মারছে আফগান সমর্থকরা।
তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মাঠের অবকাঠামো। যে কারণে চটেছে আরব আমিরাতে পুলিশ। এরই মধ্যে ৩৯১ জনকে গ্রেফতার করেছে দেশটির পুলিশ। যার মধ্যে ৯৭ জন গ্রেফতার হয়েছে মাঠের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করায়।
১১৭ জন গ্রেফতার হয়েছে পাকিস্তানি সমর্থকদের আক্রমণ করায়। এছাড়া বেশ কিছু কারণ দেখিয়ে সব মিলে ৩৯১ জনকে গ্রেফতার করেছে আরব আমিরাত পুলিশ।
দেশটির সংবাদ মাধ্যম ‘নিউজওয়্যার’ তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সংঘাতে অংশগ্রহণকারীদের বড় অংকের জরিমানা, ভিসা বাতিল ও আজীবনের জন্য আরব আমিরাতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর অবশ্য দ্বন্দ্বটা শুরু হয়েছিল মাঠেই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের জন্য পাকিস্তানের তখন প্রয়োজন ছিল ৮ বলে ১২ রান। উইকেটে ছিলেন একমাত্র জাত ব্যাটার আসিফ আলি। বাবর বাহিনীকে জেতাতে হলে, তখন তিনিই শেষ ভরসা। এমন সময়ে আফগান পেসার ফরিদ আহমেদের বলে শর্ট ফাইন লেগে ধরা পড়েন আসিফ। পাক এ ব্যাটার ভালো করেই জানতেন, তিনি আউট হলে ম্যাচ জেতানোর মতো আর কোনো জাত ব্যাটার ক্রিজে থাকবেন না। তাই নিজের ওপরই হয়তো তার রাগ হচ্ছিল। ম্যাচের এমন উত্তেজনাকর মুহূর্তে আউট হয়ে মেজাজটা আর ধরে রাখতে পারলেন না আসিফ। এমন মুহূর্তে উইকেট পেয়ে আসিফের সামনে এসে কিছু একটা বলেন ফরিদ। সেটা শুনে আসিফ মেজাজ হারান, ব্যাট উঁচিয়ে আফগান পেসারকে মারতে যান। পরে আরেক আফগান ফিল্ডার এসে সরিয়ে নেন আসিফকে।
১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে আসিফের আউটে আফগানিস্তান সমর্থকরা জয় ধরেই নিয়েছিল। তখন পাকিস্তানের বাকি ছিল ১ উইকেট। ক্রিজে দুই পেসার নাসিম শাহ এবং মোহাম্মদ হাসনাইন। গ্যালারি কাঁপছিল কাবুলি গর্জনে। কিন্তু নাসিম শাহ যে মুদ্রার উলটোপিঠ দেখিয়ে দেবেন, সেটি তারা ঘুণাক্ষরে ভাবনেনি, অবচেতন মনে কল্পনাও করতে পারেননি। ফজল হক ফারুকিকে মারা নাসিম শাহ’র দুই ছক্কায় উল্লাসে ভেসে ওঠে পাকিস্তান শিবির। হতবাক আফগানিরা যেন মেনে নিতে পারেননি। তাইতো শারজাহর গ্যালারিতে মেতে ওঠেন চেয়ার ছোড়া-ছুড়িতে। কয়েকজনকে চেয়ার দিয়ে বাড়ি দিতেও দেখা যায়।
সূত্র: নিউজওয়্যার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।