৪৫ বলে হার না মানা ৫৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন তিনি। সঙ্গত কারণেই ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন শোয়েব মালিক। এমন সময় এক সংবাদকর্মী বিব্রতকর প্রশ্ন করে বসেন শোয়েব মালিককে। হতভম্ব হয়ে যান তিনি।
পরে অবশ্য নিজেকে সামলে নিয়ে চমৎকার প্রতিউত্তরও দেন। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে জয়ের হাসি নিয়ে সাংবাদিকদের সব প্রশ্নের জবাব দিয়ে যাচ্ছিলেন শোয়েব মালিক। এ সময় ওই সংবাদকর্মী বলে ওঠেন, ‘আপনার বয়স তো পাকিস্তান কোচের চেয়েও বেশি।’
সংবাদকর্মীর এমন কথায় আক্কেল গুড়ুম হয় মালিকের। তার বয়স এখন ৩৭। কোচ মিসবাহ-উল-হকের বয়স কি ৩৭ হয়নি এখনো! কিছু সময় ভাবার পর যখন কথাটার মানে বুঝতে পারেন তখনই হো হো করে হেসে ওঠেন শোয়েব।
কারণ ‘বয়স’ বলতে ওই সাংবাদিক আসলে ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সময়কালকে বুঝিয়েছেন। তিনি বলতে চাইছেন, পাক কোচ মিসবাহ-উল-হকের ক্রিকেট ক্যারিয়ারের চাইতেও বেশি সময় ধরে খেলছেন শোয়েব মালিক। মালিকের অভিষেকের পরই পাকিস্তান দলে সুযোগ পান মিসবাহ। মিসবাহের সতীর্থ হয়েই খেলেছেন অনেক বছর। শোয়েব মালিক যখন পাকিস্তান দলের অধিনায়ক ছিলেন তখন মিসবাহও খেলেছেন সে দলে।
দার্শনিকসুলভ জবাব দিলেন শোয়েব।
তিনি বলেন ‘দেখুন, পৃথিবীতে এমন কেউ নেই যে বলতে পারে সে সবকিছু শিখে ফেলেছে। শেখার শুরু আছে কিন্তু কোনো শেষ নেই। ক্রিকেটে খারাপ-ভালো দুই সময়ই যায়। তাই দলকে, দেশকে কে কতটা দিতে পারছে সেটাই মূখ্য। যে যার অবস্থান থেকে সেরাটা দিতে পারবে তাই ঢেলে দেয়া উচিত। কাউকে যদি সুযোগ দেয়া হয়, তাহলে কিছুটা অপেক্ষা করা উচিত।’
অনেক আগেই অবসরে গিয়ে আজ দলের কোচ হয়েছেন মিসবাহ। কিন্তু শোয়েব মালিক ৩৭ বছর বয়সেও টগবগে যুবকের ন্যায় খেলে যাচ্ছেন।
এ বয়সে মাঠে নেমে নিজের সর্বোচ্চটাই দিয়ে যাচ্ছেন এই বর্ষীয়ান অলরাউন্ডার। ক্লান্তির ছাপও দেখা যায় না তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজে। প্রসঙ্গত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মালিকের অভিষেক ১৯৯৯ সালে। পাকিস্তান দলের বর্তমান কোচ ও প্রধান নির্বাচক ৪৫ বছর বয়সী মিসবাহর অভিষেক ২০০১ সালে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।