স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপের হাইভোল্টেজ ম্যাচ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকে। ধারণা করা হয়েছিল এই ম্যাচে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই হবে। ম্যাচের পরতে পরতে থাকবে উত্তেজনা।
কিন্তু তার লেশ মাত্রও ছিল না। ম্যাচটি হয়ে গেলো একপেশে। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রাজত্ব করে স্বাগতিক ভারত। বুহরাহদের দুর্দান্ত বোলিং আর রোহিত শর্মার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে স্রেফ উড়ে যায় পাকিস্তান।
শনিবার আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৪২.৫ ওভারে ১৯১ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ১১৭ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের দাপুটে জয় পায় ভারত।বাবর আজমের দলের এমন পরাজয়ে পাকিস্তানকে নিয়ে হচ্ছে তুমুল সমালোচনা।
পাকিস্তানের সাবেক বর্তমান কিংবা ভারতের ক্রিকেট বোদ্ধারা তো বটেই, খোদ পাকিস্তানের সমর্থকরাও পাকিস্তানের এমন পারফরম্যান্সে নিদারুণ হতাশ।
তারা বলছেন, পাকিস্তানের এই দল আর এমন পারফরম্যান্স নিয়ে বিশ্বকাপের স্বপ্ন দেখাই পাপ। নির্বিষ বোলিংটাকে অনেকে যে ওয়াকার-ইউনিসদের সময়ের সাথে তুলনা করেছেন, তাদের ক্ষমা চাওয়ার দাবিও উঠেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুললেই ধরা পড়ছে সমর্থকদের অসন্তোষ। ক্ষোভের চোটে কেউ কেউ এমনও বলছেন, লাজ-লজ্জা থাকলে নাকি বাবরদের এখনই দেশের বিমান ধরা উচিৎ!
শুধু সমালোচনাই নয়, বাবর আজমের দলকে নিয়ে চলছে অনবরত রসিকতা। যত গর্জে তত বর্ষে না- এই প্রবাদটা মনে করিয়ে দিয়ে অনেকেই ম্যাচের আগে ভারতকে বাবরের দেওয়া হুঙ্কার টেনে এনে একহাত নিচ্ছেন।
কেউ আবার রসিকতা করে বলছেন, পাকিস্তান তো ইচ্ছা করেই হেরে গেছে। আসল খেলাটা জিইয়ে রেখেছে সেমিফাইনাল আর ফাইনালের জন্য!
যদিও গতবারের মতো এবারো বাবররা নাকি বিদায় নেবেন রাউন্ড রবিন লিগ থেকেই- এ কথা বলার মানুষের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। আবার আইসিসি এই ম্যাচকে ঘিরে যেসব বর্ণীল আয়োজন করেছে তা নাকি ‘লস প্রজেক্ট’ এ রুপ নিয়েছে, এসেছে এমন মন্তব্যও।
আবার এমন টুইট চোখে পড়েছে, যেখানে পাকিস্তানের ক্রিকেট ও অর্থনীতি দুটিকেই কটাক্ষ করে লেখা হয়েছে- পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার তাদের ইকোনমির চেয়েও দ্রুত ধসে পড়ল!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।