স্পোর্টস ডেস্ক : পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র হয়েছে। করাচিতে প্রথম ইনিংসে ১৭৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে চতুর্থ দিন শেষে ২ উইকেটে ৭৭ রান করেছিলো পাকিস্তান। ইমাম উল হক ৪৫ ও নোমান আলি ৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) পঞ্চম ও শেষ দিনের তৃতীয় ওভারে নোমানকে বিদায় করেন নিউজিল্যান্ডের স্পিনার মাইকেল ব্রেসওয়েল। ৪ রান করেন নোমান। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা অধিনায়ক বাবর আজম ১৪ রানে আউট হন। ১০০ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় পাকিস্তান। পঞ্চম উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়েন সরফরাজ ও ইমাম। সরফরাজ ৫৩ রানে ফিরলেও সেঞ্চুরির পথে ছিলেন ইমাম। কিন্তু সেঞ্চুরি থেকে ৪ রান দূরে থাকতে ইমামকে থামান নিউজিল্যান্ডের স্পিনার ইশ সোধি। ১০টি চার ও ১টি ছক্কায় ২০৬ বলে ৯৬ রান করেন ইমাম।
দলীয় ২০৬ রানে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে আউট হন ইমাম। তখন ৩ উইকেট হাতে নিয়ে ৩২ রানে এগিয়ে পাকিস্তান। অষ্টম উইকেটে মোহাম্মদ ওয়াসিমের সাথে ৭১ ও মির হামজাকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৩৪ রান তুলেন সাউদ শাকিল। ওয়াসিম ৪৩ রানে আউট হন। ৮ উইকেটে ৩১১ রানে ইনিংস ঘোষনা করে পাকিস্তান। পাকিস্তানের ইনিংস ঘোষণায় জয়ের জন্য ১৫ ওভারে ১৩৮ রানের টার্গেট পায় নিউজিল্যান্ড। ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ১০৮ বলে অপরাজিত ৫৫ রান করেন শাকিল। ৩ রানে অপরাজিত থাকেন হামজা। নিউজিল্যান্ডের সোধি ৮৬ রানে ৬ উইকেট নেন। ১৮ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত পাঁচ উইকেট নেন সোধি।
১৩৮ রানের জবাবে প্রথম ওভারের শেষ বলে পাকিস্তানের স্পিনার আবরার আহমেদের শিকার হয়ে ৩ রানে আউট হন ব্রেসওয়েল। পরের ৩৯ বলে ৫২ রান তুলেন টম লাথাম ও ডেভন কনওয়ে। ৭ দশমিক ৩ ওভারের পর আলো স্বল্পতার জন্য ম্যাচটি ড্র’তে শেষ হয়। তখন ১ উইকেটে ৬১ রান করেছিলো নিউজিল্যান্ড। কনওয়ে ১৮ ও লাথাম ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান ৪৩৮ ও নিউজিল্যান্ড ৯ উইকেটে ৬১২ রান করেছিলো। প্রথম ইনিংসে ২০০ রান করায় ম্যাচ সেরা হন নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন। আগামী ২ জানুয়ারি থেকে একই ভেন্যুতে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।