জুমবাংলা ডেস্ক: দেশের প্রচলিত যেসব আইনে ‘পাকিস্তান’, ‘ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান’ এবং ‘ইস্ট পাকিস্তান’ শব্দ রয়েছে, সেসব আইনের তালিকা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এসব আইনের তালিকা তৈরি করতে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। ৬০ দিনের মধ্যে এই কমিটিকে তালিকা তৈরি করে হাইকোর্টে দাখিল করতে হবে।
বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মুহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার জনস্বার্থে করা এক রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারিসহ এই আদেশ দেন।
রুলে আইন অনুসারে দেশের প্রচলিত আইন থেকে ‘পাকিস্তান’, ‘ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান’ এবং ‘ইস্ট পাকিস্তান’ শব্দ বাদ দিয়ে সংশোধন করতে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ও আইনজীবী কামরুল ইসলাম।
শুনানি শেষে আইনজীবী কামরুল ইসলাম জানান, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রচলিত (পাকিস্তান আমলের) আইনগুলো অ্যাডাপ্ট করা হয়। তখন ১৯৭৩ সালের ‘বাংলাদেশ লজ (রিভিশন ও ডিক্লারেশন) অ্যাক্ট’-এ ‘পাকিস্তান’, ‘ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান’ এবং ‘ইস্ট পাকিস্তান’ শব্দগুলো বাদ দিতে বলা হয়। কিছু আইনে তা বাদ দেওয়া হয়। তবে এখনও অনেক আইনে শব্দগুলো রয়ে যায়। যেমন: দ্যা ক্যাটল (প্রিভেনশন অব ট্রেসপাস) অর্ডিন্যান্স, ১৯৫৯, দ্যা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স, ১৯৬১; দ্যা অ্যাগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি অর্ডিন্যান্স, ১৯৬১; দ্যা অ্যাগ্রিকালচারাল পেস্টস অর্ডিন্যান্স, ১৯৬২; দ্যা ইনডিসেন্ট অ্যাডভার্টাইজমেন্টস প্রভিহিশন অ্যাক্ট, ১৯৬২; দ্যা সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট, ১৯৬৩; দ্যা পাইলটেজ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এবং দ্যা গর্ভনমেন্ট লোকাল অথরিটি ল্যান্ডস অ্যান্ড বিল্ডিংস (রিকভারি অব পজেশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৭০ উল্লেখযোগ্য।
এসব আইনে ‘পাকিস্তান’ শব্দ থাকা ১৯৭৩ সালের আইনের লঙ্ঘন বিধায় আইনজীবী মো. রবিউল আলম সম্প্রতি জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।