জুমবাংলা ডেস্ক : মেরুদন্ডী প্রানীদের মধ্যে পাখি অন্যতম এবং আকাশে উড়ে বেড়ায়। আকাশে উড়ে বেড়ানো প্রানীদের খেচর প্রানী বলা হয়। ছোট বেলায় এক কথায় প্রকাশ এর মধ্যে আছে আকাশে উড়ে যে – খেচর। মানুষের মনে স্বাভাবিক প্রশ্ন এসেই থাকে যে, পাখি আকাশে উড়ে বেড়াতে পারলেও মানুষ কেন আকাশে উড়ে বেড়তে পারে না। মেরুদন্ডী প্রানীদের পাঁচটি ভাগের মধ্যে পাখি Aves বা পক্ষী এর অন্তর্ভূক্ত এবং মানুষ স্তন্যপায়ী শ্রেনির অন্তর্ভূক্ত। এদের শারীরিক এবং গাঠনিক বৈশিষ্ট্যের কারনেই পাখি আকাশে উড়ে বেড়ায় এবং মানুষ আকাশে উড়তে পারে না। আরও একটি বড় কারন হচ্ছে পাখি হালকা প্রকৃতির এবং মানুষের ওজন কম বেশী হয়ে থাকে।
সুন্দর বা অসুন্দর যে কোন পাখির উড়ার উপর ভিত্তি করেই উড়োজাহাজ তৈরি করা হয়েছে। উড়োজাহাজের পাখা ঝাপটানো না গেলেও পাখির পাখার ফাংশন এবং মেকানিজমের উপর ভিত্তি করেই প্লেনের ইঞ্জিন তৈরি। বর্তমানে মানুষও আকাশে উড়ে বেড়ায়। কিন্তু কিভাবে। প্যারাসুটের মাধ্যমে আকাশে উড়ে বেড়ানো অনেক পুরানো পদ্ধতি। বর্তমানে স্কাইস্ক্র্যাপার পদ্ধতিতে আকাশে উড়ে বেড়ানো যায়। এই পদ্ধতিতে মানুষ এক ধরনের স্যুট পড়ে থাকে। এ স্যুটের মাধ্যমে মানুষের হাত থেকে পায়ের মাঝের ফাকা অংশে কাপড়ের মাধ্যমে যুক্ত থাকায় মানুষের হাত পাখির পাখার মত কাজ করে থাকে। তাখন সে পাখির মত আকাশে উড়ে বেড়ায়।
পাখি কিভাবে উড়ে:
পাখি যখন আকাশে উড়ে বেড়ায় তখন ডানার উপর এবং নিচ দিয়ে বাতাসের প্রবাহ সর্বদাই চলতে থাকে। পাখার উপরের অংশ দিয়ে বাতাস খুব দ্রুত গতিতে প্রবাহিত হয়ে থাকে। একই সময় কয়েক ইঞ্চি নিচে অর্থাৎ পাখার নিচ দিয়ে বাতাস হালকা গতিতে প্রবাহিত হয়ে থাকে। ডানার নিচের বাতাসের চাপের চেয়ে ডানার উপরের বাতাসের চাপ কম হয়। এই কারনে পাখি আকাশে ভেসে বেড়ায়। পাখার নিচের বাতাসের চাপ প্রকৃত অর্থে পাখিকে শুন্যে ভেসে রাখতে সাহায্য করে থাকে।
পাখির সাথে বিমানের উড়ার সাদৃশ্য:
উপরের মেকনিজমের উপর ভিত্তি করেই বিমানের ইঞ্জিন এবং বডি তৈরি করা হয়েছে। এখন বিমানের দুই পাখাতে ই এবং লেজে ফ্ল্যাপস থাকে। এই ফ্ল্যাপস পাখির ডানার মত কাজ করে। পাখির ডানা যেমন উপর নিচ হওয়ার মাধ্যমে বায়ুচাপের তারতম্য হয় এবং এরা আকাশে ভেসে উড়ে বেড়ায়।
বিমানের দুই পাখাতে ফ্ল্যাপস থাকে। এই ফ্ল্যাপস নড়া চড়ার মধ্যমে বায়ুচাপের তারতম্য করা হয়। এছাড়াও বিমানের লেজের দিকে খাড়া অংশ আছে যা ডান বাম করার মাধ্যমে বিমান মোড় ঘুরতে পারে।
সুন্দর পাখি তাদের ডানার পেশী ব্যবহার করে পাখা ঝাপটিয়ে থাকে তখন নিচের দিক থেকে এক Force কাজ করে। এই Force/ Thrust পাখিকে সামনের দিকে এগুতে সহযোগিতা করে। হালকা ওজন পাখির জন্য আলাদা বেনিফিট যা তাকে উড়তে সহযোগিতা করে থাকে। তাদের হাড় ফাঁপা হওয়ার কারনে তাদের জন্য উড়া সহজ হয়।
পরিশেষে, আমরা সবাই আকাশে সুন্দর পাখি উড়তে দেখি। কিন্তু পাখিগুলো কিভাবে উড়ে তা ভালভাবে জানা হয়ত সবার ছিল না। এই কারনে আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে সম্পূর্ন সিষ্টেম ভালভাবে তুলে ধরা হল। সুন্দর পাখির নাম ছোটদের মুখস্থ করানো হয় এবং রুমের মধ্যে সুন্দর পাখির ছবি দেওয়ালে টাঙানো থাকে। যা ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে থাকে। সুন্দর পাখি ফটো যে কেউ পছন্দ করে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।