জুমবাংলা ডেস্ক: এবার পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলার পর কোটি কোটি টাকার দেশি-বিদেশি মুদ্রা, স্বর্ণ-রৌপ্য অলংকারের সঙ্গে পাওয়া গেছে এক গৃহবধূর চিঠি ।
নাম-ঠিকানাবিহীন এক গৃহবধূর চিঠি পড়ে টাকা গণনার তদারকি কাজে নিয়োজিত কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানম ক্ষণিকের জন্য থমকে যান। তিনি চিঠির একটি ছবিও তুলে রাখেন।
অজ্ঞাতপরিচয় ও ঠিকানার ওই গৃহবধূ চিঠিতে লেখেন— হে আল্লাহ, পাগলা মসজিদের রহমতে মাসুমকে টাকা-পয়সা আসার ব্যবস্থা করে দিও। হে আল্লাহ তুমি সাহায্য কর। তুমি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। হে আল্লাহ পাগলা মসজিদের রহমতে আমার স্বামী যেন অনেক টাকা-পয়সার মালিক হয়। সব ঋণ থেকে, অভাব থেকে- মানুষের কটু কথা থেকে মুক্তি পায়। হে আল্লাহ তুমি দয়া কর। পাগলা মসজিদের রহমতে আমার স্বামীর সব দুঃখ দূর করে দিও। অনেক আশা নিয়ে এসেছি তোমার দরবারে। খালি হাতে ফিরিয়ে দিওনা পাগলা মসজিদের রহমতে।
এদিকে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স খুলে ১২ বস্তা দেশি-বিদেশি মুদ্রা, স্বর্ণ ও রুপা পাওয়া যায়।
দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত প্রশাসন, ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ পাগলা মসজিদ কমপ্লেক্স মাদ্রাসা-এতিমখানার কয়েকশ শিক্ষক-শিক্ষার্থী টাকা গণনা করে তিন কোটি টাকা পান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।