পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল নারীর চিরকুট
জুমবাংলা ডেস্ক : এবার কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আটটি লোহার দানবাক্স থেকে পাওয়া ১৯ বস্তা টাকা গণনায় এরইমধ্যে পাঁচ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। টাকার সঙ্গে এই প্রথম পাওয়া গেছে একটি চিরকুট।
আজ শনিবার সকাল ৯টায় মসজিদের আটটি দানবাক্স খুলে টাকা গণনা করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এবার ছয় কোটির মতো টাকা পাওয়া যেতে পারে। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রাসহ স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া গেছে।
সিন্দুকের টাকার সঙ্গে পাওয়া এ চিরকুটটি লিখেছেন পারভীন নামে এক নারী।
পারভীন ওই চিরকুটটিতে লিখেন, ‘আমার নাম পারভীন। আমার শরীর অনেক অসুস্থ। আমার পাগলা বাবার মসজিদে আসার অনেক ইচ্ছা ছিল, আসতে পারলাম না। পাগলা বাবার মসজিদে আমার আরজি যে, আমার ছেলে-মেয়েকে যেন ভালো জায়গায় বিয়ে দিতে পারি। আমার শরীরে অনেক ব্যথা, আমি চলতে পারি না। আমার কিডনি সমস্যাও আছে। আমি পাগলা বাবার কাছে এই দোয়া চাই যেন, আমার এই সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে যায়। তাহলে আমি পাগলা বাবার মসজিদের দানবাক্সে দুই হাজার টাকা দিবো। আর আমি যদি ভালো থাকি, তাহলে আমি নিজেই আসবো। আমি তো শুনি, পাগলা বাবার কাছে যে আসে সবার মনের আশা পূরণ হয়। আমার আশাগুলো যেন পূরণ হয়। আমিন।’
জানা যায়, এ মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়। এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এ মসজিদে দান করে থাকেন।
টাকা গণনার কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরী নেতৃত্বে রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলামসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন।
মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। এছাড়া পাগলা মসজিদে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এসব কাজ বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে।
যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।