জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরের বিরামপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাচার হয়ে আসা Swaraj 744 FE মডেলের ভারতীয় ট্রাক্টরটি পাচারের পাঁচ দিন পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে উদ্ধার করেছে ২০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ দাউদপুর সীমান্ত ফাঁড়ির সদস্যরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উদ্ধারকৃত ট্রাক্টরটি দাউদপুর বিজিবি ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
দাউদপুর ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোকলেছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ২৩ ডিসেম্বর সকালে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার ধলপাড়া অঞ্চলের গোবিন্দপুর সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়াসংলগ্ন বিএসএফ গেটে একদল চোরাকারবারি ভারতীয় সীমান্তে জমি চাষের কথা বলে ট্রাক্টর পারাপারের অনুমতি চায়। পরে ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর নিকট থেকে নির্দিষ্ট সময় নিয়ে অনুমতিক্রমে গেট পার হয়ে চোরাকারবারিরা ট্রাক্টরটি নিয়ে আসে। নির্দিষ্ট সময় পার হবার পরেও ট্রাক্টরটি তারা বিএসএফের কাছে হস্তান্তর না করায় ওই গেটে দায়িত্বরত বিএসএফ সদস্যরা বিজিবির কাছে বিষয়টি জানায়।
বিএসএফের এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির দাউদপুর ক্যাম্প কমান্ডার বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাজির হোসেনকে অবহিত করেন। পরে, ওই চেয়ারম্যান ও বিজিবির গোয়েন্দা সদস্যের সহযোগিতায় সেই ট্রাক্টরটিকে উদ্ধার করে।
ট্রাক্টরটি উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে কাটলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বলেন, বিজিবির তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় ট্রাক্টর বাংলাদেশে পাচার হয়ে আসার সংবাদ পেয়ে বিজিবির অধিনায়কের সাথে যোগাযোগ করি এবং পাচার সিন্ডিকেটের সদস্য কাটলা ইউপির সদস্য মইনুল ইসলাম, দক্ষিণ দাউদপুর গ্রামের মোস্তাক হোসেন, সুজন হোসেন লালু ও মিজানুর রহমানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২৭ ডিসেম্বর বগুড়া জেলার শান্তাহার এলাকা থেকে ট্রাক্টরটি উদ্ধার করে বিজিবি দাউদপুর ক্যাম্প কমান্ডারের নিকট হস্তান্তর করেছি।
বিজিবি জয়পুরহাট ২০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
চোরাইপথে প্রকাশ্য দিবালোকে ভারতীয় Swaraj-744 FE মডেলের এত বড় ট্রাক্টরটি দাউদপুর সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কিভাবে বাংলাদেশের বগুড়া জেলার শান্তাহার থেকে উদ্ধার হলো বিষয়টি নিয়ে এলাকার সর্বস্থরের সচেতনমহল বিশ্বয় প্রকাশ করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।