জুমবাংলা ডেস্ক: বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় পাটচাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে এবার। উৎপাদন খরচ বাদে মণপ্রতি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা লাভ করছেন তাঁরা।
পাটচাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার পাটের আবাদ করতে গিয়ে নানাভাবে বিড়ম্বনা পোহাতে হয়েছে তাঁদের। আবাদের শুরুতে অতিবৃষ্টিতে পাটের চারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবার পাট কাটার সময় খরা পরিস্থিতির কারণে অনেককে ক্ষেত থেকে অনেকটা দূরে নিয়ে গিয়ে জাগ দিতে হয়েছে। এ জন্য অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হয়েছে। এ ছাড়া পুরো মৌসুমেই বেশি মজুরিতে দিনমজুর খাটাতে হয়েছে।
চাষিরা আরও জানান, গত বছর ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা দিন চুক্তিতে দিনমজুর পাওয়া গেলেও এবার তা বেড়ে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা হয়েছে। এছাড়া, বীজ, কীটনাশক, সারসহ চাষের অন্যান্য খরচও বেড়েছে। ফলে সব মিলিয়ে গত বছরের চেয়ে এবার প্রতি বিঘায় প্রায় ৬ হাজার টাকা বেশি খরচ হয়েছে।
কৃষকরা নতুন পাট ঘরে তুলতে শুরু করেছেন দেড় মাস আগে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে উৎপাদন কিছুটা কম এবং আবাদের খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষকরা শঙ্কায় ছিলেন। তবে বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় দুশ্চিন্তা কাটিয়ে পাটচাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে গত বছরের চেয়ে এবার বিঘাপ্রতি ফলনও কম হয়েছে। গত বছর বিঘায় ১০ থেকে ১১ মণ পাট পাওয়া গেলেও এবার গড়ে ৮ মণ ফলন পাওয়া গেছে। এতে প্রতি মণ পাটে কৃষকের গতবারের চেয়ে প্রায় ৭৫০ টাকার মতো বেশি খরচ হয়েছে।
হিসাব করে দেখা গেছে, গত বছর প্রতি বিঘায় পাট উৎপাদনে প্রায় ১২ হাজার টাকা খরচ হলেও এবার প্রায় ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এতে প্রতি মণ পাটের উৎপাদন খরচ পড়েছে প্রায় ২ হাজার ২৫০ টাকা। পাটের হাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রতি মণ পাট মানভেদে ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বোয়াইলমারী হাটে পাট বিক্রি করতে আসা চাষিরা জানান, পাট বিক্রি করে এবার প্রতি মণে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকার মতো লাভ হচ্ছে তাদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।