জুমবাংলা ডেস্ক : জাতিকে টিকিয়ে রাখতে ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা চালুর কোনো বিকল্প নেই। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় মানুষকে অনৈতিক হিসেবে গড়তে সহায়ক হবে। ৯০ ভাগ মুসলমানদের দেশে পাঠ্যবই থেকে ইসলামবিরোধী বিষয়গুলো বাদ দিতে হবে। ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ডিআরইউ মিলনায়তনে ইসলামী গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা একাডেমির উদ্যোগে ‘জাতি সত্তার বিকাশে শিক্ষাব্যবস্থার ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় একজন মুসলমানের সন্তানের কুরআন বুঝার জানার সুযোগ কম। মক্কার বর্বর সমাজকে হজরত মুহাম্মদ সা. কুরআনের শিক্ষা দিয়েই আদর্শ সমাজ তৈরি করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ততদিন টিকবে যতদিন শিক্ষাব্যবস্থায় ইসলাম থাকবে। এটা যারা বিশ্বাস করে না তারা স্বাধীনতার শত্রু।
তারা আরও বলেন, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা মুসলিম জাতিসত্ত্বাকে ধ্বংস করার চক্রান্ত। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা দিয়ে আগামী দিনে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা সম্ভব হবে না। এদেশের মানুষের মূল্যবোধের আলোকে জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়নের আহ্বান জানান তারা।
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোঃ আব্দুর রউফ বলেন, শিক্ষাব্যবস্থা মধ্যে বিভিন্ন চেতনা এনে ঝামেলা সৃষ্টি করা হয়েছে। মুসলমানদের শিক্ষাব্যবস্থা হবে আল কুরআন ও নবীজির সুন্নাহর আলোকে। মানুষকে মানুষ হিসেবে চিন্তা করার শক্তি আল কুরআন শিখিয়েছে। আল্লাহর কর্তৃত্বের উপরে আর কোনো শক্তি নাই। মানুষের অস্তিত্ব জানতে আল্লাহকে জানতে হবে। আর এই জ্ঞান অর্জন করতে হবে আল কুরআন থেকে। শিক্ষা সার্বজনীন এটাকে খণ্ডিত করা যাবে না। শিক্ষাব্যবস্থা হতে হবে অবশ্যই ধর্মীয় শিক্ষার আলোকে।
সেমিনারে সভাপতির আলোচনায় মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাবেক ভিসি ড. কোরবান আলী বলেন, জাতিসত্ত্বা নিয়ে স্বাধীনতার পর জাতিকে দুই ভাগে বিভক্ত করে। সার্বজনীনভাবে ইসলামি শিক্ষাই পারে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে। ২০১০ সালে ষড়যন্ত্র করে জাতিসত্ত্বাবিরোধী শিক্ষাব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জানার কোন সুযোগ নেই। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় একজন মুসলমানের সন্তানের কুরআন ও হাদিস জানার সুযোগ নেই। এজন্য আমাদের বিশ্বাসের আলোকে শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে।
মাওলানা যাইনুল আবেদীন বলেন, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে আদর্শ নাগরিক তৈরি করা সম্ভব নয়। ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থা চালু করতে হবে। বিকল্প পাঠ্যবই হিসেবে ইসলামের আলোকে বই প্রকাশ করতে হবে। এই জমিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি। আমাদের মত-পার্থক্য ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. আ ছ ম তরিকুল ইসলাম। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আলমগীর মহিউদ্দিন, খলিলুর রহমান মাদানী, বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টারের ড. সামিউল হক ফারুকী, ডিইউজের শহিদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, আশরাফুল হক, ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার, মাওলানা ফখরুদ্দীন আহমদ, ড. মোহাম্মদ জাকির হোসাইন আল আজহারী, মুফতি নুরুজ্জামান নোমানী, মাশাররফ হোসাইন, মাওলানা জালাল উদ্দীন, ড. হাবিবুর রহমান, ড. ইকবাল হোসাইন ভূইঁয়া, ড. আব্দুস সামাদ, লুৎফর রহমান প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।