জুমবাংলা ডেস্ক: ভারী বর্ষণে চট্টগ্রামে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন খোদ সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। আজ ভোরে ভারী বর্ষণ শুরু হলে মেয়রের বাড়ির উঠানে হাঁটু পানি জমে যায়। পুরো ভবনের বাসিন্দারা এখন পানিবন্দি।
মেয়রের এপিএস মোস্তফা জামাল চৌধুরী বলেন, ছুটির দিনে মেয়রের কোনো অনুষ্ঠান নেই। মেয়র বাসাতেই আছেন।
মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর পৈতৃক বাড়ি নগরের বহদ্দারহাটে। তিনি পরিবার নিয়ে বাড়ির দোতলা ভবনের ওপরের তলায় থাকেন। নিচের তলায় সচরাচর ঘরোয়া বৈঠক বা দর্শনার্থীদের সঙ্গে আলাপ করে থাকেন। এর আগে গত বছরও জলাবদ্ধতায় একাধিকবার তলিয়ে গিয়েছিল মেয়রের বাড়ির উঠান ও সামনের রাস্তা।
একটানা ভারি বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের প্রায় সব নিচু এলাকা। বৃহস্পতিবার থেকে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। তবে রাতে ভারি বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নগরী। কোথাও কোথাও জমে গেছে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি। বৃষ্টিপাতের সঙ্গে জোয়ারর পানি যোগ হওয়ায় দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
জলাবদ্ধতায় পানি ঢুকে পড়েছে বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন দোকানপাট ও মসজিদেও। নগরীর বাদুরতলা এলাকায় পানি জমে যাওয়ায় চাকলাদার জামে মসজিদের মাইক থেকে শুক্রবারের জুমার নামাজ বাসায় পড়ে নিতে এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা ও নোংরা পানি এখন সড়কে। এতে বেড়েছে জনদুর্ভোগ। মূলত ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল থাকায় পানি সরতে না পেরে অনেক ঘর ও দোকানপাটের ভেতর পানি ঢুকে গেছে।
মেয়রের বাড়িতে বারবার পানি ওঠার জন্য চাক্তাই খালসহ আশপাশের খালে বাঁধ দেওয়াকে দায়ী করে আসছেন সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) খালগুলোয় বাঁধ দিয়ে রেখেছে। এজন্য পানি নামতে পারছে না। তাই বারবার জলাবদ্ধতা হচ্ছে।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সিটি করপোরেশন ঠিকমতো নালা-নর্দমাগুলো পরিষ্কার করলে পানি দ্রুত নেমে যেত। কিন্তু তা না করার কারণে বারবার জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে মেয়র যেমন কষ্ট পাচ্ছেন, তেমনি তারাও দুর্ভোগে আছেন।
জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীতে ১১ হাজার কোটি টাকার চারটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এসব প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ব্যয়ও হয়েছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি বলে দাবি করছেন নগরীর অনেক বাসিন্দা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।