আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বে জনসংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। গাছ কেটে তৈরি হচ্ছে বাসস্থান। বিশ্ব উষ্ণায়ন বা জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে চিন্তিত আবহাওয়াবিদরা। তাহলে ভবিষ্যত কি? এবার প্রকাশ্যে এল সেই নকশা, যেখানে ভাসবে একটা আস্ত শহর। মানে পুরো শহরটাই তৈরি হয়ে পানির ওপর।
ইতোমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে ব্লু-প্রিন্ট। কয়েক বছর বাদেই বাস্তবে দেখা মিলবে সেই শহর। যুক্তরাজ্যের হাত ধরে তৈরি হচ্ছে সেই প্রজেক্ট। উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রের পানিস্তর বেড়ে গেলে যেসব অঞ্চলে বিপদ আসতে পারে, সেসব অঞ্চলের কথা ভেবেই এই শহর তৈরি করা হচ্ছে।
এই নকশা অনুযায়ী পানির ওপরেই তৈরি হবে আস্ত শহর। সেখানে আবাসিক এলাকা, বাজার, মাঠ, স্কুলসহ একটি শহরের সবই থাকবে। খুব দ্রুতই এই নকশার প্রথম শহর নির্মাণের কাজ শুরু হবে এবং মানুষ বাস্তবে পানির ওপর একটি আস্ত শহর দেখতে পাবেন। যুক্তরাজ্য সরকার ও কয়েকটি সংস্থার যৌথ প্রকল্পে তৈরি হবে এই শহর। খবর ডেইলি মেইলের।
উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে গেলে যেসব অঞ্চলে বিপদ আসতে পারে, সেসব অঞ্চলের কথা ভেবেই এই শহর তৈরি করা হচ্ছে। সি-বেডের উপর তৈরি হবে ঘর। এক একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে ১০ হাজার মানুষ বসবাস করতে পারবেন। থাকবে বাজার, পার্ক ইত্যাদিও।
আগেই এই পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। তবে এবার নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হল। ১০ বছরের মধ্যেই তৈরি হবে এই শহর।
প্রজেক্টের এক কর্মকর্তা বলেছেন, শুনতে অদ্ভুত লাগলেও, সব কিছু ঠিক থাকলে একেবারে আসল শহরের মতই হবে এই শহর।
যেভাবে বরফ গলছে, তাতে বিশ্বের সব বড় শহরের ৯০ শতাংশ পর্যন্ত পানির তলায় চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই পরিকল্পনা। স্থলভাগ থেকে এক কিলোমিটার দূরেই তৈরি হবে এই শহর, যাতে সমুদ্র অশান্ত হলে বাসিন্দাদের সরিয়ে আনা যায়।
তবে সুনামি কিংবা হ্যারিকেনেও যাতে এই শহরে কোনো আঁচ না পড়ে তার জন্য ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ওসান ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিভাগের সঙ্গে আলোচনাও চলছে। এই শহরে উৎপাদন হবে শস্যও। যাতে বাইরে থেকে খাবার কেনার দরকার না পড়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।