জুমবাংলা ডেস্ক: আলু উৎপাদনের শীর্ষ জেলা মুন্সীগঞ্জে পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে আলু। উৎপাদনে ১৮ থেকে ২০ টাকা খরচ হলেও কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৬ থেকে ৯ টাকা। লোকসানে পড়েছেন কৃষক।
মুন্সীগঞ্জের হিমাগারগুলোর শেডভর্তি আলু এভাবেই পড়ে আছে। নেই পাইকার বা ক্রেতা। নিত্যদিনের খাদ্য তালিকায় থাকা খাদ্যশস্যটি এখন চাষির এখন গলার কাঁটা। গত কয়েক দিনে পাইকারি বাজারে পানির দরে বিক্রি হচ্ছে আলু।
এ অবস্থায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন কৃষক। তাদের দাবি, উৎপাদন ও হিমাগার ভাড়াসহ সংরক্ষণে ব্যয় হয় কেজিপ্রতি ১৮ থেকে ২০ টাকা।
সংরক্ষণকারীরা বলছেন, এক কেজি আলুর দাম পড়ছে ১৮-২০ টাকা। এখন সেই আলু ৬-৮ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
জরুরি ভিত্তিতে আলু রপ্তানি বা বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খুরশীদ আলম। তিনি বলেন, আলুর পাশাপাশি চালকুমড়া, লাউ, শিম শসা সারা বছরই পাওয়া যাচ্ছে। যার কারণে আলুর যে ব্যবহার তা স্বাভাবিকভাবেই কমে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে যদি আমরা আলুর উৎপাদনটাকে ধরে রাখতে চাই তাহলে সবজির পাশাপাশি আলুর বিকল্প ব্যবহার বাড়াতে হবে।
এবার ৩৭ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে প্রায় ১৩ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।