জুমবাংলা ডেস্ক : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সমুদ্র বন্দর, ফেনী নদীর পানি এবং জ্বালানি সংকটময় দেশের গ্যাস ভারতের হাতে তুলে দেয়ার যে চুক্তি করা হলো, তা সুস্পষ্ট সংবিধান পরিপন্থী।
তিনি বলেন, চুক্তির ব্যাপারে সংসদসহ কোনো পর্যায়েই আলোচনা করেনি সরকার। তিস্তাসহ কোনো সমস্যার সমাধান করতে না পারলেও ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়েছে সরকার।
রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
তিস্তাসহ কোনো সমস্যার সমাধান করতে না পারলেও ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেশের স্বার্থ সরকার বিকিয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চুক্তিগুলোর খবর জেনে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। মনে হয়েছে, এগুলো চুক্তি নয়, যেন শেখ হাসিনা আরেকটি দাসখত দিলেন। এর মাধ্যমে মূলত স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের সমুদ্রবন্দর, ফেনী নদীর পানি ও জ্বালানি সংকটময় বাংলাদেশের গ্যাস হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
‘এ ছাড়া নিজেদের নিরাপত্তার কথা না ভেবে উপকূলীয় নজরদারির জন্য বাংলাদেশে রাডার স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তার বদলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পেয়েছেন ক্ষমতার মসনদে থাকার গ্যারান্টি আর ঠাকুর শান্তি পুরস্কার। বিনিময়ে বাংলাদেশ কিছুই পায়নি।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমাদের সীমান্তে হত্যার সমস্যার সমাধান হয় না, আমাদের তিস্তার পানির সমস্যার সমাধান হয় না, বর্ষায় ফারাক্কার বাঁধ খুলে দিলে প্রবল বন্যার সৃষ্টি হয়, এখনো ভাসছে উত্তরাঞ্চল—এ সমস্যার সমাধান হয় না, বাণিজ্যের মধ্যে বিশাল ভারসাম্যহীনতা—সেটার সমাধান হয় না।’
তিনি বলেন, ‘‘এর আগে গত বছরের মে মাসে ভারত সফর শেষে দেশে ফিরে গর্বভরে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমরা ভারতকে যা যা দিয়েছি, তারা তা সারাজীবন মনে রাখবে।’ আর এবার জনগণকে পানিতে ও ভাতে মেরে প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহ ও প্রণোদনায় ফেনী নদীর পানি দান ইতিহাসে শেখ হাসিনার নাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি নিজ দেশের জনগণকে নিজ দেশের নদীর পানি থেকেও বঞ্চিত করলেন।”
সরকারের সমালোচনা করে রিজভী আরও বলেন, ‘এ মুহূর্তে বাংলাদেশের জনগণ ভারতের কাছে তিস্তার ন্যায্য হিস্যা বুঝে পেতে চায়। কিন্তু আপনারা দেখলেন, ফেনী নদীর ১ দশমিক ৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহার করতে পারবে ভারত। ভারত এই পানি ত্রিপুরার সাবরুম শহরে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ প্রকল্পে ব্যবহার করবে। ভারতকে দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম আর মোংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ। এসব চুক্তির বিস্তারিত কি জনগণের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে? জনগণকে কি জানতে দেওয়া হয়েছে? এমনকি মধ্যরাতের ভোটে নির্বাচিতদের দিয়ে গঠিত সংসদেও আলোচনা হয়নি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।