জুমবাংলা ডেস্ক : রিমান্ডে তথ্য দিতে শুরু করেছেন শামীমা নূর ওরফে পাপিয়া। ৫ দিনের রিমান্ডের প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়া পুলিশকে তিন ‘গড মাদার’ এর তথ্য দিয়েছেন। ওই তিন নেত্রীর আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে সম্রাজ্ঞী হয়ে উঠেছেন। এমনটিই জানিয়েছেন জিজ্ঞাবাদের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।

জাল টাকা সরবরাহ, মাদক ব্যবসা, অনৈতিক কাজ, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখার অভিযোগে পাপিয়া, তাঁর স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে মতি সুমনসহ চারজনকে গতকাল মঙ্গলবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে রাজধানীর বিমানবন্দর থানা পুলিশ।
বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ২২ ফেব্রুয়ারি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাপিয়া ও তার স্বামীসহ চারজনকে আটক করে র্যাব। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় এবং আদালত পাপিয়া ও তার স্বামীর ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। মামলার অপর দুই আসামি পাপিয়ার সহযোগী সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়্যিবা। বর্তমানে চারজনই রিমান্ডে রয়েছেন।
রিমান্ডের প্রথম দিনেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন পাপিয়া। বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক ও পাপিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. কায়কোবাদ কাজী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়ার অপরাধজগৎ সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে আসছে। মূলত যুব মহিলা লীগের শীর্ষস্থানীয় দুই নেত্রী ও ঢাকার একজন সাবেক নারী সাংসদের আশ্রয়-প্রশ্রয় থেকে মাদক ব্যবসা, অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজি করতেন।
তিনি বলেন, এছাড়া চাকরি দেওয়ার কথা বলে কিংবা বিদেশে পাঠানোর নামে অনেকের কাছ থেকে তিনি বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
মো. কায়কোবাদ কাজী বলেন, নরসিংদীর এক ব্যক্তিকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে পাপিয়া তাঁর কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা নেন। শেষ পর্যন্ত বিদেশে পাঠাতে না পারায় ওই ব্যক্তি টাকা ফেরত চাইলে তাঁকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। ওই ব্যক্তি থানায় মামলা করতে (গতকাল) এসেছিলেন। তাঁকে নরসিংদীতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।


