জুমবাংলা ডেস্ক : মানবপাচার ও মুদ্রাপাচার এবং ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে কুয়েতের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা হতে পারে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের। আগামী ২৮ জানুয়ারি পাপুলের বিরুদ্ধে কুয়েতের আদালতে রায় ঘোষণার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, গত সপ্তাহে কুয়েতের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা অপরাধ অনুযায়ী পাপুলের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছেন। আগামী ২৮ জানুয়ারিই কুয়েতে পাপুলের ভাগ্য নির্ধারিত হচ্ছে। কুয়েত কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে ওই দেশটিতে পাপুলের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে। বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) তাঁর বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ এনেছে।
পাপুলকে কুয়েতের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত ৬ জুন রাতে তাঁর কুয়েতের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে। এর পর থেকে তিনি ওই দেশের কারাগারে আছেন। পাপুলের বিরুদ্ধে মানব ও অর্থপাচার, ঘুষ লেনদেন ও শ্রমিক শোষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। পাপুলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতার অভিযোগে কুয়েতের দুই পার্লামেন্ট সদস্য সাদাউন হামাদ ও সালাহ খুরশিদ, জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল শেখ মাজন আল-জারাহসহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। পরে চারজনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্যের ‘অপরাধ’ ও গ্রেফতারের বিষয়টি কুয়েতে রাজনৈতিক মহলে অত্যন্ত আলোচিত। বাংলাদেশ সরকার এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করেনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, পাপুল বাংলাদেশের এমপি হিসেবে গ্রেফতার হননি। পাপুলের কাছে বাংলাদেশের কূটনৈতিক পাসপোর্টও ছিল না। সূত্র : কালের কণ্ঠ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।