জুমবাংলা ডেস্ক : পেঁয়াজের রাজধানীখ্যাত পাবনায় তরতর করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে প্রতি মণে দাম বেড়েছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। সে কারণে একইভাবে খুচরা বাজারে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০ টাকা।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালে পাবনার কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিন সকালে পাবনার বড় বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি মণ পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা। অথচ দুই সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছে ১২০০ টাকা।
অন্যদিকে খুঁচরা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
জানতে চাইলে পাইকারি ব্যবসায়ী আশরাফ আলী বলেন, ‘এখন তো ইন্ডিয়ার পেঁয়াজ নাই। আবার বাজারে যে আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজ ছিল, সেটাও শেষ। সে জন্য চাহিদাও অনেক বেড়েছে। এখন বিক্রি হচ্ছে হালি পেঁয়াজ। যেটা সারা বছর ঘরে থাকে। তাই কমবেশি সবাই বেশি করে পেঁয়াজ কিনছে। অনেকে বেশি করে কিনে ঘরে স্তূপ করছে বা গুদামজাত করছে, পরে বেশি দামে বিক্রি করবে বলে। এ জন্য প্রতি হাটে দাম বাড়ছে।’
খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা আব্দুল মমিন বলেন, ‘গত সপ্তাহে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করছি। আজ পাইকারি কিনলাম ভালো পেঁয়াজ ২০০০ টাকা মণ। তাহলে কেনা পড়ল ৫০ টাকা কেজি। আমরা হয়তো ৫৫ টাকা কেজি বিক্রি করব। বেশি দামে কিনলে তো বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে। লোকসান দিয়ে তো ব্যবসা করা যাবে না।’
পেঁয়াজ ক্রেতা আরিফুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। এক সপ্তাহে যদি কেজিতে বাড়ে ২০ টাকা, তাহলে সামনে আরও কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। সিন্ডিকেট আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। হাট থেকে পাইকারি বড় বড় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দ্রুত সব পেঁয়াজ কিনে গুদামজাত করছে। সামনে আরও কত দাম বাড়বে, সেটাই দেখার বিষয়। সব চাপ ওই ঘুরেফিরে সাধারণ মানুষের ওপরই পড়বে। এগুলো দেখবে কে?
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম প্রামাণিক বলেন, ‘এবার পাবনায় পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫২ হাজার ৮০১ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৫৩ হাজার ১৫০ হেক্টর। এ বছর পাবনায় পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৭ টন। বর্তমানে পেঁয়াজ মজুত রয়েছে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ১৫০ টন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুড়িকাটা পেঁয়াজ শেষ হয়ে যাওয়ায় বাজারে চাহিদা বেড়েছে। যে কারণে দামও কিছুটা বেড়েছে। ৫০ টাকা কেজি পেঁয়াজ, এটা স্বাভাবিক দাম। কৃষক অন্তত বাঁচবে। এর চেয়ে বেশি হলে তখন সেটা অস্থিতিশীল হবে। মজুতদার সিন্ডিকেট প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিদপ্তর আমরা যৌথভাবে কাজ করব।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।