জুমবাংলা ডেস্ক : রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘পাবনা প্রেস ক্লাব ও পাবনার সাংবাদিকতার সঙ্গে আমার জন্ম-জন্মান্তরের সম্পর্ক। আমি প্রাণ দিয়ে যে সব প্রতিষ্ঠানকে লালন করি, তার মধ্যে পাবনা প্রেস ক্লাব অন্যতম। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে।’
সোমবার (১০ জুন) রাতে পাবনা প্রেস ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে আনন্দ আড্ডায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও পাবনা প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য মোঃ সাহাবুদ্দিন স্মৃতিচারণ করে এ সব কথা বলেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি পাবনা জেলার উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। এই জন্য কোনো সমালোচনা বা পিছু কথা আমি মনে রাখি না। আমি আমার সাধ্যমত জেলার উন্নয়নে কাজ করব। আমি ইছামতি নদীর সৌন্দর্য বর্ধন কাজ সেনাবাহিনীর হাতে দিয়েছি। যাতে করে দৃষ্টিনন্দন শহর হয়। আমি ৫০০ বেডের পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি। প্রধানমন্ত্রীর সার্বিক সহায়তায় পাবনার উন্নয়নে আমি কাজ করেই যাব।’
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘আমি পাবনা প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য। প্রেস ক্লাবের নিজস্ব ভবন তৈরিতে আমার সার্বিক সহায়তা থাকবে। এ জন্য যাকে বলা দরকার আমি তাদের বলব।’
পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গভবনের সচিব ওবায়দুজ্জামান খান, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোঃ আদিল উদ্দিন, প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন, পাবনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, সাবেক সভাপতি প্রফেসর শিবজিত নাগ, প্রবীণ সাংবাদিক এইচ কেএম আবু বক্কর সিদ্দিক, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল প্রমুখ।
এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাষ্ট্রপতি পাবনা প্রেস ক্লাবে এসে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান পাবনা প্রেস ক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদসহ প্রেস ক্লাব নেতারা। এর আগে রাষ্ট্রপতি পাবনা ডায়বেটিক সমিতি, লক্ষ্মী মিষ্টান্ন ভান্ডার, প্যারাডাইস মিষ্টান্ন ভান্ডারে কিছু সময় কাটান।
রবিবার (৯ জুন) দুপুরে রাষ্ট্রপতি চার দিনের সফরে নিজ জেলা পাবনায় পৌঁছান। সেখান থেকে সড়কপথে পাবনা সার্কিট হাউসে এসে গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় পাবনায় কর্মরত সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর নিজ জেলা পাবনায় এটি তাঁর চতুর্থ সফর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।