যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের পাবলিক পোস্ট ব্যবহার করে মেটা তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। বিষয়টি ব্যবহারকারীদের নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে নিজেদের পাবলিক পোস্ট এআই প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হওয়ায় ক্ষোভ ঝেড়েছেন ব্যবহারকারীরা।
অ্যাপ নোটিফিকেশনের পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের ই-মেইলেও একই বার্তা পাঠানো হয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, মানুষের মতো জেনারেটিভ এআই তৈরির কাজে ব্যবহারকারীদের পাবলিক পোস্ট, কমেন্টস, ছবি ও ছবির ক্যাপশন ব্যবহার করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী ব্যবহারকারীদের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম পোস্ট, ছবি, কমেন্টস ও ক্যাপশন ব্যবহার করে এআই প্রশিক্ষণ দেওয়ায় মডেলটি যুক্তরাজ্যের সংস্কৃতি, ভাষা ও ভৌগোলিক বিষয়গুলো বুঝতে পারবে।
মেটা ব্যবহারকারীদের বিষয়টি অবগত করলেও গোপনীয়তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করে ক্ষোভ ঝেড়েছেন তাঁরা। কোনো ব্যবহারকারী চাইলে তাঁর তথ্য ব্যবহার বন্ধ রাখতে পারেন, এমন সুযোগ চালু থাকলেও মেটার এমন পদক্ষেপকে ভালো চোখে দেখছেন না সাধারণ ব্যবহারকারীরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত কয়েক দিনে ব্যবহারকারীরা নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। মেটা অবশ্য বলছে, তথ্য ব্যবহৃত হবে কি না, সেই নিয়ন্ত্রণ যেমন ব্যবহারকারীদের ওপর রয়েছে, তেমনি কীভাবে তথ্য ব্যবহৃত হবে, সেটিও সুস্পষ্ট করে জানাতে ‘লার্ন হাউ উই ইউজ ইনফরমেশন অ্যাজ উই এক্সপ্যান্ড এআই অ্যাট মেটা’ নামে ই-মেইল পাঠানো হয়েছে। ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের উন্মুক্ত তথ্য ব্যবহার করা হবে।
এর আগে যুক্তরাজ্যের ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের পাবলিক পোস্টের তথ্য কাজে লাগিয়ে নিজেদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের তথ্য সুরক্ষার নিয়ন্ত্রক সংস্থা দ্য ইনফরমেশন কমিশনার অফিসের (আইসিও) সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছিল মেটা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।