বিনোদন ডেস্ক : ফের তুমুল বিতর্কের মুখে পড়লেন বলিউডের ‘মুন্না ভাই’ সঞ্জয় দত্ত। চিরবৈরী প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের সঙ্গে তার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এখন।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, হুইলচেয়ারে বসে আছেন পারভেজ মোশাররফ। আর তার সামনেই দাঁড়িয়ে হাত নাড়িয়ে কাউকে কিছু বলছেন সঞ্জয় দত্ত। মোশাররফও খুব মনোযোগ সহকারে সঞ্জয়ের কথা শুনছেন। নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবিটি নিয়ে হইচই চলছে। বলিমহলসহ গোটা ভারতজুড়েই চলছে এ নিয়ে বিতর্ক।
কী কারণে পাকিস্তানের এ সাবেক সেনা শাসকের সঙ্গে দেখা করেছেন সঞ্জয়? একজন ভারতীয় হয়ে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যোগাযোগের কি প্রয়োজন? সব মিলিয়ে পারভেজ মোশাররফের সঙ্গে সঞ্জয়ের সাক্ষাতের বিষয়টি ভালোভাবে গ্রহণ করেনি ভারতীয় নেটিজেনরা।
সঞ্জয় দত্তকে কটাক্ষ করে একজন লিখেছেন— ‘পরাজিত পারভেজ মোশাররফের সঙ্গে দেখা করার কী দরকার ছিল? শুধু প্রচারে আসার ধান্ধা, এখন তো সিনেমায় কাজ নেই; তাই কিছু রুটি-রোজির ব্যবস্থা করছেন।’ পারভেজ মোশাররফের সঙ্গে সঞ্জয় দত্ত কবে দেখা করেছেন নিশ্চিত করতে পারেনি ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।
তবে সিনেমার খবরাখবর নিয়ে কাজ করা ভারতীয় গণমাধ্যম বলিউড লাইফ জানিয়েছে, দুবাইয়ে পারভেজ মোশাররফের সঙ্গে আকস্মিকভাবে দেখা হয় সঞ্জয় দত্তের। আর সেখানেই পাকিস্তানের এ বিতর্কিত শাসকের সঙ্গে কথা বলেন সঞ্জয় দত্ত।
এ প্রতিবেদনের পর বিতর্ক না থেমে উল্টো বেড়ে গেছে। ছবিটি শেয়ার করে নেতিবাচক ক্যাপশন দিচ্ছেন অনেকে। একজন লিখেছেন, ‘যা বিতর্ক তৈরি করে এমন কাজ আপনার আর করা উচিত নয়। পারভেজ মোশাররফের চেয়ে ভালো মানুষ খুঁজে পেলেন না গল্প করার জন্য?’
প্রসঙ্গত, নিজ দেশ পাকিস্তানে ফিরতে পারছেন না পারভেজ মোশাররফ। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা চলছে পাকিস্তানে। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলে পাকিস্তানের আদালত, যদিও পরে সে আদেশ বাতিল করা হয়।
২০১৬ সালে চিকিৎসার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পর থেকে পাকিস্তানে ফিরে আসেননি তিনি। পাকিস্তানে সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ১৯৯৯ সালে ক্ষমতা দখল করেন পারভেজ মোশাররফ। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। অন্যদিকে সম্প্রতি ‘কেজিএফ ২’, ‘পৃথ্বীরাজ’, ‘শামশেরা’ ইত্যাদি ছবিতে কাজ করেছেন সঞ্জয় দত্ত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।