আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের নাগপুরের কাছে একটি কনস্ট্রাকশন সাইটে কাজ করেছিলেন চামরু পাহাড়িয়া নামের ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ শ্রমিক। এরপর কাজের পারিশ্রমিক চেয়েছিলেন তিনি। আর তাতেই ঘটল বিপত্তি। টাকার বদলে ঝরল রক্ত। কেটে দেওয়া হয়েছে হাতের আঙুল। কেটে নেওয়া হয়েছে ডান পায়ের পাঁচটি আঙুলও। ওই কনস্ট্রাকশন সাইটের ঠিকাদারদের দু’জন এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়ালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, দুই অভিযুক্ত ঠিকাদারের নাম দোলাল সাতনামি এবং বিদেসি সুনামি। কনস্ট্রাকশন সাইটে মিডলম্যান হিসেবে কাজ করত এই দু’জন। ন্যায্য মজুরি দেওয়ার বদলে ওই বৃদ্ধ শ্রমিককে নানাভাবে নির্যাতন করেছে এই দু’জন। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে নেওয়া হয়েছে ডানহাতের তিনটি আঙুল। কেটে নেওয়া হয়েছে ডান পায়ের পাঁচটি আঙুলও। গত জুলাই থেকে নাগপুরের ওই কনস্ট্রাকশন সাইটে কাজ করছিলেন এই শ্রমিক।
ভুক্তভোগী চামরু পাহাড়িয়া ওড়িষার বাসিন্দা। মোটা মাইনের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাগপুরে আনা হয় তাকে। স্থানীয় পুলিশ জানায়, অমানবিকভাবে অত্যাচার করার পর ওই বৃদ্ধকে নাগপুর স্টেশনে ফেলে দিয়ে যায় দোলাল এবং বিদেসি। আরপিএফ এসে উদ্ধার করে ওই শ্রমিককে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে।
ভুক্তভোগী চামরু পাহাড়িয়া জানান, ওই দুই অভিযুক্ত তার গ্রামেরই বাসিন্দা। ভয়ে ওই দু’জনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ জানাতে পারছেন না তিনি।
বৃদ্ধ শ্রমিকের ছেলে তুলাহরাম জানান, বাবাকে তারা পঙ্গু করে দিল। তিনি না হাঁটতে পারবে। না কিছু ঠিক করে ধরতে পারবে। বাকি জীবনটা নষ্ট করে দিল তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।