হিমালয়ান শকুন (জিপস হিমালয়েনসিস) বা হিমালয়ান গ্রিফন শকুন হল হিমালয় এবং তৎসংলগ্ন তিব্বতীয় মালভূমিতে বসবাসকারী একটি বৈচিত্রময় শকুন। কয়েক শত বছর ধরে এ শকুন পৃথিবীতে টিকে আছে। তাই একে বৃহৎ আকারের প্রাচীন পৃথিবীর শকুন বলা হয়।

আইইউসিএন হিমালয়ান গ্রিফনকে রেড লিস্টে তালিকাভুক্ত করেছে। কেননা নিকট ভবিষৎ এ শকুনের প্রজাতিটি বিলুপ্ত হওয়ার পথে রয়েছে। এটাকে গ্রিফন শকুনের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা যাবে না, যা একটি অনুরূপ প্রজাতি। হিমালয়ান শকুনের পালকে যথেষ্ট বৈচিত্র রয়েছে।
এ শকুনে গাঢ় বাদামী রঙের পালক দেখতে পাওয়া যায়। পালকের রঙ সবুজ ধূসর থেকে ফ্যাকাশে বাদামী রঙে পরিবর্তিত হয়। শকুনের দেহে পালকের কয়েকটি স্তর বিদ্যমান। বাদামী রঙের পালকের স্তরের নিচে সাদা রঙের পালক লক্ষণীয়। এটির দেহে ফ্যাকাশে বাদামী রঙের সাদা দাগ এবং লম্বা ও কাঁটাযুক্ত পালক থাকে।
শরীরের পালকের ফ্যাকাশে খাদ রেখা আছে। ছোট গ্রিফন শকুন থেকে এটিকে আলাদা করা বেশ কঠিন। আলাদা করার উত্তম পদ্ধতি হচ্ছে ডানা এবং লেজের পালকগুলি ডার্ক রঙে, ফ্যাকাশে আবরণ এবং শরীরের সাথে বৈপরীত্য। হিমালয় শকুন প্রধানত হিমালয় এবং তিব্বত মালভূমির উচ্চতর অঞ্চলে 1,200-5,500 মিটার (3,900-18,000 ফুট) উচ্চতায় বাস করে।
এটি কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, আফগানিস্তান এবং ইরান এ দেখতে পাওয়া যায়। পাশাপাশি পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, ভুটান, পশ্চিম চীন এবং মঙ্গোলিয়ায় হিমালয়ান গ্রিফন শকুনের অস্তিত্ত্ব রয়েছে। থাইল্যান্ড, বার্মা, সিঙ্গাপুর এবং কম্বোডিয়ায় এদের বসবাস রয়েছে।
এটি জিপস প্রজাতির মধ্যে বৃহত্তম, অন্যান্য শকুনের তুলনায় এটিন গড় আকার বড়, এবং এটি সম্ভবত হিমালয়ের সবচেয়ে বড় এবং ভারী পাখি। হিমালয় শকুনদের ওজন ৬ কেজি থেকে ১২.৫ কেজি পর্যন্ত। এটির গড় ওজন ৯ কেজির মত হয়ে থাকে। জন্মের পর তরুন হিমালয়ান গ্রিফন শকুন ছয় থেকে সাত মাস বাবা-মায়ের সাথে থাকে।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel