আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তানের সদ্য ক্ষমতাচ্যূত প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি কাবুল থেকে পালিয়ে বর্তমানে আবু ধাবিতে রয়েছেন। পুরো দেশ এখন তালেবানের কব্জায়। আশরাফ গনির দাবি, রক্তপাত এড়াতে এবং কাবুলের সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষায় দেশ ছেড়েছেন তিনি। তবে গনির দেশত্যাগ নিয়ে নতুন তথ্য সামনে এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। খবর এনডিটিভি’র।
তালেবানের সামরিক অভিযানের মুখে গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল থেকে বিমানে করে বিদেশে পালিয়ে যান আফগানিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। এতে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। ওঠে সমালোচনার ঝড়।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলছেন, পালিয়ে যাওয়ার আগের রাতে অর্থাৎ ১৪ আগস্ট রাতে আশরাফ গনির সঙ্গে কথা হয়েছিল তার। সেসময় তিনি (আশরাফ গনি) মৃত্যু পর্যন্ত তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। আফগান সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ব্লিংকেন একথা বলেন।
আশরাফ গনির পালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থিত আফগান সরকার ভেঙে পড়ে। ‘তিন লাখ সদস্যের’ আফগান নিরাপত্তা বাহিনীও তালেবানের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। আগস্টের ১৫ তারিখ চূড়ান্তভাবে পতন হয় কাবুলের।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনের সাক্ষাৎকারের একটি দৃশ্য সামাজিক মাধ্যম টুইটারে শেয়ার করেছে সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজ। ভিডিওতে দেখা যায়, তোলো নিউজের সাংবাদিক লুৎফুল্লাহ নাজাফিজাদা অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে জিজ্ঞাসা করছেন- ‘দেশ ছেড়ে পালানোর কাজে আপনি আশরাফ গনিকে সহায়তা করেছিলেন কি না?’
উত্তরে ব্লিংকেন বলেন, ‘পালিয়ে যাওয়ার আগের রাতে আশরাফ গনির সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। সেসময় গনি জানিয়েছিলেন- তালেবানের বিরুদ্ধে মৃত্যু পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে প্রস্তুত তিনি।’
এদিকে তালেবানের অভিযানের মুখে কাবুল সরকারের আকস্মিক পতনের জন্য আফগান নাগরিকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন আশরাফ গনি। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এই ক্ষমা প্রার্থনা করেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বিবৃতিতে আশরাফ গনি বলেন, তিনি তার নিরাপত্তা দলের অনুরোধে দেশত্যাগ করেন। নিরাপত্তা দলের পক্ষ থেকে তাকে জানানো হয়েছিল- তালেবানের আক্রমণের মুখে তিনি যদি কাবুলে অবস্থান করেন তাহলে ৯০-এর দশকের গৃহযুদ্ধের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
গনি দাবি করেন, ‘কাবুল ছেড়ে যাওয়া ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত। আমি বিশ্বাস করি, অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ এবং কাবুলের ৬০ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদে রাখতে এটিই ছিল সেরা সিদ্ধান্ত।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।