
জুমবাংলা ডেস্ক : তাজিংডং পাহাড়ে অবৈধ ইটভাটা তৈরি করায় এর মালিককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পরিবেশ ধ্বংস করার অপরাধে কারাদণ্ডের সঙ্গে তাকে ১৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় এই রায় ঘোষণা করেন অভিযানে নেতৃত্বদানকারী সহকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন। পরে রাত দেড়টায় আবদুল কুদ্দুছকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে, আদালতের রায়ের প্রতিবাদে বুধবার দুপুর দুইটা থেকে আকস্মিকভাবে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় বান্দরবান পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। পরে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে বিকেল ৪টার দিকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।
আবদুল কুদ্দুছ এর ছেলে লুৎফুর রহমান উজ্জ্বল জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে ম্যাজিস্ট্রেট ফোনে তার বাবাকে আদালতে ডাকেন। এরপর তার মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরে বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের কেমিস্ট সামিউল আলমকে নিয়ে থানচি উপজেলায় অভিযানে যান ম্যাজিস্ট্রেট। সেখান থেকে বান্দরবান শহরে ফিরে তদন্ত প্রতিবেদন লেখা শেষে রাত একটার দিকে রায় ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শফিউল আলম জানান, তাজিংডং পাহাড়ের পাদদেশে স্থাপিত অবৈধ ইটভাটার মালিকানা স্বীকার করায় কুদ্দুছ চেয়ারম্যানকে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর আগে ২৩ ডিসেম্বর এই ইট ভাটাটি অন্যত্র সরিয়ে নেবার জন্য তিন মাসের সময় দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সেই নোটিশ অমান্য করেছেন।
উল্লেখ্য, বান্দরবানের থানচিতে অবস্থিত তাজিং ডং দেশের সর্বোচ্চ পাহাড়।
আবদুল কুদ্দুছ এর পুত্র উজ্জ্বল জানান, আমাদের প্রতি অবিচার হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।