জুমবাংলা ডেস্ক : দুই ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের চাপায় চার বছর আগে ডান পা থেঁতলে যায় মাদরাসাছাত্রী আয়েশা খাতুনের। চিকিৎসার পর ডান পায়ের হাঁটুর নিচ থেকে কেঁটে বাদ দেন চিকিৎসকরা। এরপর থেকেই সে ক্রাচ দিয়ে চলাফেরা করতে শুরু করে।
চিকিৎসকরা কৃত্রিম পা লাগানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু অভাব অনটনের দায়ে একটি কৃত্রিম পা লাগানোর টাকা জোগাড় করতে পারেননি আয়েশার দিনমজুর বাবা। সাতক্ষীরার তালা সদরের আগোলঝাড়া গ্রামের বাসিন্দা ওমর আলী শেখের আয়েশা খাতুন। বর্তমানে সে আগোলঝাড়া দাখিল মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে।
আয়েশা খাতুন রোববার সন্ধ্যায় জানান, সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর দেশ-বিদেশ থেকে বহু হৃদয়বান মানুষ যোগাযোগ করেছেন। কথা বলেছেন। অনেকেই কৃত্রিম পা কিনে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কেউ কেউ বিকাশে টাকা পাঠিয়েছেন। সেসব টাকায় সোমবার (২২ জুলাই) সকালে আমাকে নিয়ে সাভারের সিআরপি হাসপাতালে নিয়ে যাবেন বাবা ও ফুফা।
এর আগে আয়েশা খাতুন জানিয়েছিলেন, চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ালেখা করার সময়ে পার্শ্ববর্তী ডুমুরিয়া থানার চুকনগর এলাকায় দুটি ইঞ্জিনভ্যানের মাঝখানে চাপা পড়ে তার ডান পা থেতলে যায়। পরে চিকিৎসকরা পা কেটে বাদ দেন। সে সময় চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, একটি কৃত্রিম পা লাগালে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারবো। তবে দিনমজুর বাবার পক্ষে আজও একটি পা লাগানো সম্ভব হয়নি। ক্রাচ দিয়ে চলাফেরা করতে খুব কষ্ট হয়। আপনারা আমার একটি কৃত্রিম পায়ের ব্যবস্থা করেন। খুব খুশি হবো।
আয়েশার ফুফা মোড়ল শাহিন উদ্দীন বলেন, বিকাশে পাঠানো হৃদয়বান মানুষের টাকায় আয়েশাকে নিয়ে সোমবার সকালে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবো। সভারের সিআরপির একজন চিকিৎসক সেখানে থাকার ব্যবস্থা করবেন। এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রভাষক কৃত্রিম পা ক্রয়ের টাকাটা সিআরপিতে জমা করে দেবেন। সহায়তাটি করবেন আমেরিকা প্রবাসী একজন।
এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন মানুষদের কাছে সহযোগিতার জন্য গিয়েছি কিন্তু কোনো ফল হয়নি। সাভারের সিআরপি হাসপাতালে কথা বলেছি, সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন কৃত্রিম পা লাগাতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা খরচ হবে। টাকা জোগাড় না হওয়ার কারণে পা এখনও লাগানো হয়নি। সূত্র : জাগোনিউজ২৪
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।