ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, পিআর (প্রতিসূচক প্রতিনিধি) পদ্ধতি এমন একটি নির্বাচন ব্যবস্থা যেখানে জনগণের প্রতিটি ভোটের মূল্য থাকে এবং ছোট-বড় সব দল ভোটের আনুপাতিক হারে সংসদে আসন পায়। তিনি বলেন, এ ছাড়া বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বগুড়ার শহরের শহীদ খোকন পার্কে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশের নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার ছাড়া বাংলাদেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব নয়। গত ৫৩ বছরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে দিনের ভোট রাতেই বাক্সবন্দি হয়ে গেছে এবং কেন্দ্র দখল করে জোরপূর্বক জয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “এ পদ্ধতি বহু মায়ের বুক খালি করেছে, বহু জীবন পঙ্গু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দাবি, সংস্কার, বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন নিশ্চিত করতে হবে, না হলে বাংলাদেশে আবার ফ্যাসিস্ট শাসন ফিরে আসতে পারে।”
চরমোনাই পীর আরও জোর দিয়ে বলেন, রাষ্ট্র সংস্কার ছাড়া দেশের ভবিষ্যৎ নিরাপদ নয়। তিনি সংসদীয় ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে, বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করতে, প্রশাসনকে দলীয়করণ থেকে মুক্ত করতে এবং বিদেশে পাচার হওয়া জনগণের সম্পদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মুফতি রেজাউল করীম বলেন, “জুলাই সনদ আমাদের জাতীয় জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার; কিন্তু আজ পর্যন্ত কার্যকর হয়নি। তাই আমরা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।”
জনসভায় বক্তব্য দেন আরও: প্রবীণ আলেম আল্লামা আব্দুল হক আজাদ, ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র সহসভাপতি ও জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ, জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল মতিন, সহসভাপতি অধ্যাপক মীর মাহমুদুর রহমান চুন্নু, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক মুফতি এমদাদুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক জিয়াউর রহমান জিয়া, ইসলামী যুব আন্দোলন জেলা সভাপতি মুহম্মাদ সোহরাব হোসেন, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি ফরহাদ হোসেন মন্টু ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি নাঈম হাসান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।