জুমবাংলা ডেস্ক : দেশ থেকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে তার অন্য সহযোগীদের বিচারও শুরু হয়েছে।
শনিবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিশেষ ইডি কোর্ট-১ এর বিচারক প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে মামলাটি ওঠে। তাদের বিরুদ্ধে থাকা অর্থপাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২ মামলার শুনানি হয়েছে। পরে আদালত ২৫ সেপ্টেম্বর পরবর্তী হাজিরার দিন ধার্য করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী গণমাধ্যমে বলেন, মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর।
এদিন মামলার আরেক অভিযুক্ত আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারের জামিনের ব্যাপারে নগর দায়রা আদালতে যে আবেদন করা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করে নেন তাদের আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না।
আদালত থেকে বের হওয়ার সময় এই মামলা সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন করা হলে বিশ্বজিৎ মান্না বলেন, এখনো বলার সময় আসেনি।
এছাড়া পিকে হালদারের ভাই প্রাণেশ কুমার হালদারের জামিনের আবেদন করা হয়েছে কলকাতার হাইকোর্টে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সেখানে এই জামিনের আবেদন শুনানি হবে।
গুরুত্বপূর্ণ এই মামলায় বাংলাদেশের এস আলম গ্রুপের সম্পৃক্ত থাকার যে বিষয়টি সামনে এসেছে তা নিয়ে ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন, এসব বিচারাধীন বিষয়। আদালতের কাছে রয়েছে। মামলা যখন শুনানি হবে, তখন আদালত বিচার করে দেখবেন। মামলার পরবর্তী দিনগুলোতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে। আমরা এই মামলার ট্রায়াল প্রক্রিয়ায় ঢুকে গেছি।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাট থেকে পিকে হালদারকে গ্রেফতার করে ভারতের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এছাড়া রাজ্যটির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পিকে হালদারের আরো ৫ সহযোগী- তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে গ্রেফতার করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।