জুমবাংলা ডেস্ক : লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারীতে ‘কোরআন অবমাননার’ গুজব ছড়িয়ে আবু ইউনুস মো. সহিদুন্নবী জুয়েলকে (৫০) পিটিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার প্রধান আসামি আবুল হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি জুয়েল হত্যাসহ দুটি মামলার ১ নম্বর আসামি। রিমান্ড শেষে শনিবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, ওই ঘটনায় হেলাল উদ্দিন (৩২) নামে আরও এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বাড়ি পাটগ্রামের বুড়িমারী ইউনিয়নের বুড়িয়াটারী উফারমারা এলাকায়। এ নিয়ে তিন মামলায় ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লালমনিরহাট ডিবি পুলিশের ওসি ওমর ফারুক যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, শনিবার প্রধান আসামি আবুল হোসেনের ৫ দিনের রিমান্ড শেষে লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলি আদালত-২) আফাজ উদ্দিনের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন প্রধান আসামি আবুল হোসেন। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
অন্যদিকে বুড়িমারী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. আফাজ উদ্দিনকে লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (আমলি আদালত-৩) ফেরদৌসী বেগমের আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। হেলাল উদ্দিনকে আজ আদালতে সোপর্দ করা হবে।
২৯ অক্টোবর লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী কেন্দ্রীয় বাজার জামে মসজিদে ‘কোরআন অবমাননার’ গুজব ছড়িয়ে জুয়েল ও তার সঙ্গী একই এলাকার সুলতান রুবায়াত সুমনকে গণপিটুনি দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে আটকে রাখে। সন্ধ্যায় ইউপি ভবন ভেঙে জুয়েলকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ আগুনে পুড়িয়ে ছাই করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।