জুমবাংলা ডেস্ক: ঢাবির ইংরেজি বিভাগে সুযোগ পেয়েও এখন স্বপ্নেরি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় চাঁদনি। শৈশবকাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছা। সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছে। সাফল্যও এসেছে। ভর্তির সুযোগ পেয়েছে দেশের অন্যতম এই বিদ্যাপীঠে পড়ার। কিন্তু অর্থাভাবে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার সুমাইয়া আক্তার চাঁদনীর শৈশব কালের সেই ইচ্ছা ভেস্তে যেতে বসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং পরের কয়েক বছর পড়ার খরচ জোগানোই এখন তার মূল চিন্তা।
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের মৌজাথানা থানাহাট বাজার এলাকায় বেড়ে ওঠে সুমাইয়া আক্তার চাঁদনীর বাবা মো. চাঁদ মিয়া সামান্য চায়ের দোকান করে যা আয় হয় তাই দিয়ে কোনোরকমে সংসার চালান। পিতার অভাবী সংসারে সংগ্রাম করে কোনোরকমে পড়াশোনা চালিয়ে যায় চাঁদনী। ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ‘খ’ ইউনিটে ১৫৮৭তম স্থান অধিকার করে ইংরেজি ভাষাতত্ত্ব বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েও শুধুমাত্র অর্থাভাবে স্বপ্নের বিদ্যাপীঠ ঢাবিতে ভর্তি হতে পারছে না চাঁদনী। ২৬ ডিসেম্বর ঢাবিতে ভর্তির শেষ দিন। ভর্তির শেষ তারিখ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে চাঁদনীর পরিবার।
তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে চাঁদনী তৃতীয়। বড়ভাই ফরহাদ জামান সাদ্দাম বাংলা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষ করে বাড়িতে রয়েছেন। বড়বোন সুরাইয়া আক্তার চায়নার বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট বোন নুসরাত জাহান সুমি এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে।
উপজেলার থানাহাট বাজার এলাকার সামান্য চা দোকানি মো. চাঁদ মিয়া ও গৃহিণী মোছা. নুরিমা বেগমের ৩য় কন্যা সুমাইয়া আক্তার চাঁদনী অনেকের সহায়তায় জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ-৫ অর্জন করে। পরবর্তীতে সরকারিভাবে পাওয়া শিক্ষাবৃত্তি ও আমেরিকার দেলোয়ার দিলরুবা ফাউন্ডেশনের সহায়তা নিয়ে গোলাম হাবিব মহিলা ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মানবিক শাখায় জিপিএ-৫ অর্জন করে। বর্তমানে দুই বোনের লেখাপড়ার খরচ জোগান দেওয়া পিতা চাঁদ মিয়ার পক্ষে অসম্ভব প্রায়।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে চাঁদনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় খ ইউনিটে ইংরেজি ভাষাতত্ত্ব বিভাগে ভর্তির সুযোগ পায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও চাঁদনী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় খ ইউনিটে মেধাতালিকায় ৫০তম স্থান অধিকার করে এবং গুচ্ছভর্তিতে তার স্কোর ৭৩.৭৫। ভর্তির জন্য চিলমারী থেকে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে প্রায় ৩০ হাজার টাকা প্রয়োজন। এছাড়াও ভর্তি হয়ে শিক্ষাজীবনে বাকি পথ কীভাবে পাড়ি দেবে তা তার জানা নেই। চাঁদনীর মা নুরিমা বেগম মেয়ের উচ্চশিক্ষার জন্য সমাজের বিত্তবান ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের সাহায্য সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সাহায্য পাঠাতে: সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর- ৯২০০০০৭২২১০২৫ অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, চিলমারী শাখা, চিলমারী, কুড়িগ্রাম।
স্কলারশিপ নিয়ে বিদেশে পড়াশোনা : বিশ্বের বড় সকল বৃত্তি’র তথ্য
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।