জুমবাংলা ডেস্ক : ২৪ বছর অপেক্ষার পর মৃত্যুরহস্য নিয়ে পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সালমান শাহর শ্বশুর। তিনি বলেন, এই প্রতিবেদনে আমরা খুশি। কারণ আমরা জানতামই আমার মেয়ে এ ঘটনায় জড়িত নয়। কেননা আমরা জানি আমার মেয়ে কি।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর পরই তিনি এসব কথা বলেন।
প্রয়াত নায়কের শ্বশুর জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক শফিকুল হক হীরা বলেন, তদন্ত পিবিআই খুব ভালোভাবে করেছে। অনেকে অনেক রকম কথা বলেছিল কিন্তু তারা খুব বিস্তারিতভাবে তদন্তটি করেছে এবং শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার পরে তারা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন সালমান আত্মহত্যা করেছে।
যারা সামিরাকে ভালোবাসতো তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, এবার সবাই সামিরার কষ্টটা বুঝতে পারবে।
এর আগে সকালে পিবিআইয়ের ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে হত্যা নয়, আত্মহত্যাই করেছিলেন সালমান শাহ।
এছাড়াও ব্রিফিয়ে জানানো হয়, শাবনূরকে নিয়ে সালমান-সামিরার নিয়মিত ঝগড়া হতো।
সালমানের বাসায় রান্নাবান্নার কাজ করা মনোয়ারা বেগমের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে শাবনূর-সামিরা দুজনকে নিয়েই সংসার করতে চেয়েছিলেন সালমান।
কেননা সামিরা এবং শাবনূর দুজনকেই প্রচণ্ড ভালোবাসতেন সালমান। এ কারণে দু’জনকেই বিয়ে করে সংসার করতে চেয়েছিলেন সালমান। কিন্তু সামিরা তাতে রাজি হননি।
ওই জবানবন্দীতে আরো বলা হয়, সতীনের সংসার করতে রাজি ছিলেন না সালমানের স্ত্রী সামিরা।
চিত্রনায়ক সালমান শাহর রহস্যজনক মৃত্যুর পর দায়ের করা মামলায় এখন পর্যন্ত কোনো তদন্তকারী সংস্থার প্রতিবেদন গ্রহণ করেনি তার পরিবার। প্রথমে থানা পুলিশ পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মামলাটি তদন্ত করে।
সেটি প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর সালমান শাহ অপমৃত্যু নাকি হত্যার শিকার তা নিশ্চিত হতে আদালত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করে। সেটাও প্রত্যাখ্যাত হয়। এরপর র্যাব এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট তদন্ত সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সর্বশেষ গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করার কথা থাকলেও সালমান শাহ হত্যা মামলার পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি পিবিআই। এ কারণে ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ শুনানি শেষে পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ নির্ধারণ করেছেন আগামী ১৮ মার্চ।
তবে ১৮ মার্চের আগেই পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে চাইছে তদন্ত সংস্থা পিবিআই। পিবিআই সদরদফতর সূত্রে জানা গেছে, চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যার শিকার নাকি তার অপমৃত্যু হয়েছে, সে ব্যাপারে তদন্ত একদম শেষ পর্যায়ে। পিবিআই তাদের তদন্তে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্যও পেয়েছে।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি। অপমৃত্যু মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত। সূত্র : সময় নিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।