জুমবাংলা ডেস্ক: পিরোজপুর জেলায় গত ছয় মাসে ৪৫৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। এছাড়াও করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে সংক্রমণ রোধ প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন- ২০১৮ প্রয়োগ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেরেন এর নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটদের নেতৃত্বে গঠিত এসব আদালত এ সময় জেলার বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের অপরাধের ধরণ অনুযায়ী অর্থদন্ড ও কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে।
২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত জেলার নদ-নদী, হাট-বাজার, শহর বন্দরসহ বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত আদালত ২২ লক্ষ ৫ হাজার ৩শত টাকা অর্থদন্ড আদায় করে এবং ৩২ জনকে সর্বনি¤œ ৩দিন থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর কারাদন্ড প্রদান করে। এপ্রিল মাসে সর্বাধিক ১৯২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
এছাড়া জানুয়ারি মাসে ৩৬টি, ফেব্রুয়ারি মাসে- ৩৬টি, মার্চ মাসে ৬৯টি, এপ্রিল মাসে ১৯২টি, মে মাসে ৬৩টি এবং জুন মাসে ৫৮টি নিয়ে মোট ৪৫৪ টি আদালত পরিচালনা করা হয় বলে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্যালয়ের বিচার শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রুবানা তানজিলা জানান।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে মামলার সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪ শত ২৮টি। এপ্রিল মাসে সংক্রমণ রোধ- প্রতিরোধ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন- ২০১৮ সহ অন্যান্য আইন প্রয়োগ করে সর্বাধিক ৭৮২টি মামলায় সর্বোচ্চ ৭ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৫০ টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দেয়া হয়। ৪৫৪ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে যেসব আ্ইন অমান্যকারীদের কারাদন্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করা, ঝাটকা ও ডিম ভরা ইলিশ শিকার, ইভটিজিং, খাদ্যে ভেজাল, প্রকাশ্যে ধূমপান, মাদক সেবন ও বিক্রয়, পরীক্ষায় অসাধু উপায় অবলম্বন, বাল্য বিয়ে, ভোক্তা অধিকার আইন, পরিবেশ আইন, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এবং বিএসটিআই আইন অমান্য করা।
পিরোজপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাৎক্ষনিক কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দেয়ায় এ আদালতের আওতাভুক্ত বিভিন্ন ধরণের অপরাধের সংখ্যা পিরোজপুরে ক্রমশঃ কমে আসছে। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।