জুমবাংলা ডেস্ক : জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় পি কে হালদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বুধবার (২ ডিসেম্বর) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
অর্থপাচারের ঘটনায় এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে (প্রশান্ত কুমার) হালদারকে দেশে ফেরানো এবং গ্রেপ্তারের বিষয়ে দুই মাস আগে করা গ্রেফতারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরোয়ানা জারি না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে দুদককে এসব তথ্য-উপাত্ত আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এর আগে, বুধবারই দুদকের পদক্ষেপের হালনাগাদ প্রতিবেদন দাখিলের সময় বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আড়াই মাসেও পিকে হালদারকে গ্রেফতারের ইন্টারপোলের জন্য পরোয়ানা জারি না হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেন। এ সময় উষ্মা প্রকাশ করে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, খুবই আনফরচুনেট! আড়াই মাস হয়ে গেল ওয়ারেন্ট অব অ্যারেস্টের একটা অর্ডার হল না। তখন দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান আদালতকে বলেন, আমি যোগাযোগ করেছি, জানিয়েছি। তখন বিচারক তাকে বলেন, আপনি বলবেন, এটা নিয়ে উচ্চ আদালত কনসার্ন্ড।
এদিকে, হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা প্রতিবেদনে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তারের জন্য ইন্টারপোলের সহায়তা নিতে আদালতের কাছে পরোয়ানা চাওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
এর আগে, গত ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বা গ্রেপ্তার করতে দুদক কী পদক্ষেপ নিয়েছে- তা জানতে চান হাইকোর্ট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।