জুমবাংলা ডেস্ক: হাজার কোটি টাকা লোপাটের মূল অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) গ্রেফতার ও দেশে ফিরিয়ে আনা বিষয়ে জারি করা রুল শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় এসেছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে রুলটি শুনানির জন্য আজ কার্য তালিকার ২২ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে।
পি কে হালদার ভারতে গ্রেফতার হওয়ার বিষয় আদালতকে গতকাল সোমবার জানান ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। একইসঙ্গে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আগে জারি করা রুল শুনানির জন্য আবেদন জানান। সে অনুযায়ী আজ বিষয়টি শুনানির জন্য কার্য তালিকায় রাখা হয়েছে।
২০২০ সালের ১৮ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘পি কে হালদারকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চাইবে দুদক’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে স্বপ্রণোদিত রুল জারি করে আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রুলে পি কে হালদারকে গ্রেফতার ও দেশে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং এক্ষেত্রে দায়ী ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা কেন নেয়া হবে না- রুলে তা জানতে চাওয়া হয়।
এদিকে গত ১৪ মে শনিবার ভারতের গণমাধ্যমের খবরে পি কে হালদারের গ্রেফতার হওয়ার কথা জানানো হয়।
ভারতের সংবাদমাধ্যম সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে তুলে হালদারকে রিমান্ডের আবেদন করা হলে তা মঞ্জুর করা হয়। তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করে। তাকে গ্রেফতারের পর এক বিবৃতিতে ইডি বলেছে, হাজার কোটি টাকা পাচারকারী পি কে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে বসবাস করতেন। প্রদেশের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।