রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গে আক্রান্ত আরও ছয়জন রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। অসুস্থ গরুর মাংস কাটা ও বিতরণের সঙ্গে জড়িত থাকার পর এদের শরীরের বিভিন্ন অংশে ঘা দেখা দেওয়ায় মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে পাঁচজনের এবং এর আগে গত রোববার অপর একজনের নমুনা সংগ্রহ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাসুদ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সর্বশেষ আক্রান্ত এসব রোগীর বাড়ি উপজেলার দাঁড়িয়াপুরে। তাদের মধ্যে চারজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন, যারা শরীরের ঘা নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন।
আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যরা জানান, স্থানীয় টুটুল মিয়ার একটি গাভি অসুস্থ হলে গত ১১ নভেম্বর সেটি জবাই করে গ্রামবাসীদের মধ্যে মাংস বিতরণ করা হয়। এরপর ১২ অক্টোবর মাংস কাটাকাটির সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন, তাদের শরীরেই অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ হিসেবে ঘা দেখা দিতে শুরু করে।
স্থানীয় শান্তি বেগম নামে এক নারী জানান, তার ভাশুরের অসুস্থ গরু জবাইয়ের পর ৮-৯ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ দেখা দেয়। তবে তারা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে না গিয়ে শুধু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন।
জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার পর্যন্ত রংপুর জেলায় পীরগাছায় ৩৮, কাউনিয়ায় ১৮, মিঠাপুকুরে ১২, গঙ্গাচড়ায় ৭ এবং পীরগঞ্জে ১ জনসহ মোট ৭৮ জন সন্দেহজনক অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত হয়েছিল। এর মধ্যে ২৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তবে পীরগঞ্জে নতুন পাওয়া এই ছয় রোগীর তথ্য এখনো মোট হিসাবে যুক্ত হয়নি।
জেলা সিভিল সার্জন শাহীন সুলতানা জানান, জেলায় অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১১। তবে অ্যানথ্রাক্স সন্দেহজনক রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণ হলো—উপসর্গযুক্ত রোগীর শরীরে কাঁচা ঘা থাকলেই কেবল নমুনা সংগ্রহ করা যায়; ঘা শুকিয়ে গেলে নমুনা নেওয়া সম্ভব হয় না।
‘আই লাভ মুহাম্মদ’ বলায় ভারতে মুসলিমদের ধরপাকড়, বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ
উল্লেখ্য, গত জুলাই ও সেপ্টেম্বরে রংপুরের পীরগাছায় অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে দুই নারী ও একজন পুরুষের মৃত্যু হলে বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে। এছাড়া গত ৪ অক্টোবর অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের রোজিনা বেগম (৪৫) মারা যান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।