পীরগাছা উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঘনিয়ে আসছে। শেষ মুহূর্তে প্রতিমা তৈরির কাজ জোরেশোরে চলছে, কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন, ফুরসত নেই একটুও। এ বছর উপজেলার ৮৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে স্থানীয় কারিগর সংকট ও কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে প্রতিমার দাম বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।
পীরগাছা উপজেলার আরাজি ঝিনিয়া গ্রামে প্রতিমা তৈরির একটি কারখানা গড়ে তুলেছেন তিন ভাই—সুনীল চন্দ্র, পুলিন চন্দ্র ও সুশীল চন্দ্র। দীর্ঘদিন ধরে এই পেশায় যুক্ত তারা, এখন তাঁদের স্ত্রী-সন্তানরাও প্রতিমা তৈরিতে সহযোগিতা করছেন। আগে মন্দিরে মন্দিরে প্রতিমা তৈরি হতো, এখন নিজ বাড়িতেই তা হচ্ছে। এ বছর তারা প্রায় ৫০টি প্রতিমা তৈরির কাজ হাতে নিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিমা রোদে শুকানো হচ্ছে। কেউ কাঠ কাটছেন, কেউ খড় দিয়ে হাত-পা তৈরি করছেন, আবার কেউ রং করার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। একটি প্রতিমা সেট তৈরিতে ১০-১৫ দিন সময় লাগে। এতে দুর্গার পাশাপাশি থাকে অসুর, সিংহ, মহিষ, গণেশ, সরস্বতী, কার্তিক ও লক্ষ্মীর প্রতিমা।
কারিগর সুনীল চন্দ্র বর্মণ জানান, “দিন দিন খরচ বেড়েছে, মন্দিরের সংখ্যা কমায় চাহিদা কমে গেছে। এখন আর তেমন লাভ হয় না, শুধু টিকে আছি বাপ-দাদার এই পেশায়। একটি প্রতিমা সেটের দাম বর্তমানে ৩০-৪০ হাজার টাকা।”
স্থানীয় ডাকুয়ার দিঘি দুর্গা মন্দিরের সভাপতি সুধীর চন্দ্র বর্মণ জানান, “গত বছর প্রতিমা সেট পাওয়া যেত ২৫ হাজার টাকায়, এ বছর তা কিনতে লাগছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা।”
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, পীরগাছা উপজেলা শাখার সভাপতি তরুণ কুমার রায় বলেন, “এ বছর উপজেলায় ৮৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছরের মতো এবারও উৎসব ধর্মীয় সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হবে।”
উৎসবের শুরু হবে ২৮ সেপ্টেম্বর, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে এবং পাণ্ডেলের সাজসজ্জা ও প্রতিমার রঙে সেজে উঠবে পুরো উপজেলা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।